শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
মির্জা ফখরুল ইসলাম

এখন শুধু চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখন শুধু চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো দেশের সমগ্র মানুষকে এক করতে পেরেছি। দেশের রাজনৈতিক চিন্তার মানুষ (ডান-বাম) সবাইকে আমরা এক করতে পেরেছি। এখন শুধু চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা। গতকাল বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গুলশানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেডআরএফ। তিনি বলেন, আমাদের অনেক সমস্যা আছে। আজকে যারা ক্ষমতাসীন তারা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট। আর ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াইটা খুব সহজ নয়। এখানে মৌলিক পার্থক্য হলো- অস্ত্রশস্ত্র, রাষ্ট্রক্ষমতা সবকিছুকে নিয়ে সে আক্রমণ করে। আর আমরা জনগণকে নিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিহতের চেষ্টা করি। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকীসহ অন্য নেতৃবৃন্দ। পরে তাদের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে দেশের রাজনীতি চরম সংকটে আছে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই যে, আমরা এখন সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছি। এ সংকট ও শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের দেশের মানুষ ও দল এবং আমরা যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি তারা মোকাবিলা করছি। এসব মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যেসব নেতা-কর্মী তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের অবদান বৃথা যাবে না।

খালি মাঠে ওয়াকওভার চায় আওয়ামী লীগ : অপর একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো অংশ নিক, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা চায় না। আওয়ামী লীগের নেতারা চান খালি মাঠে ওয়াকওভার। সে কারণে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা চিৎকার করে একটাই কথা বলতে শুরু করেছেন- তারাই ক্ষমতায় থাকবেন। এটাই তাদের শেষ বার্তা। বিএনপি মহাসচিব বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ তখন ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। এখন তারা চিৎকার করে বলছেন, ওটা নাকি আজিমপুর কবরস্থানে চলে গেছে। কবর দিয়ে দিয়েছেন। যেটার কবর হয়ে যাবে, সেটা নিয়ে তাহলে ১৭৩ দিন হরতাল করলেন কেন? নব্বইয়ের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের নেতা মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মণির স্মরণে গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এতে জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদত হোসেন, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এডিপি চেয়ারম্যান কারি আবু তাহের, বিকল্পধারার নূরুল ইসলাম বেপারি, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এস এম শাওন সাদেকি, মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর