শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রযন্ত্রকে সন্ত্রাসে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রযন্ত্রকে সন্ত্রাসে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকে বলে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই। আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা চাই জনগণের ন্যূনতম যে অধিকার সেগুলো যেন তারা পায়। মির্জা ফখরুল গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সোনালী দল আয়োজিত ‘কৃষি উপকরণ ও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি : সরকারের অব্যবস্থাপনা-কৃষক এবং জনগণের নাভিশ্বাস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন- বিএনপি নাকি সন্ত্রাসী দল। অথচ তারাই (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুরোপুরি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, আমাদের হাতে বন্দুক-পিস্তল নেই যে তাদের ভয় দেখাব, গ্রেফতার করে নিয়ে আসব। নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করব, নির্যাতন করব। সেই পথ আমাদের নেই। নিয়মতান্ত্রিকভাবে, গণতান্ত্রিক উপায়ে আমরা নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। আমাদের হাতে একটাই উপায়, জনগণকে সম্পৃক্ত করা। আমরা রাষ্ট্রের সবাইকে আহ্বান জানাই- রাস্তায় বেরিয়ে আসুন। হাতে আর কয়েকটা দিন সময় আছে, এই সরকারকে সরাতে না পারলে মানুষের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্নীতি, দুঃশাসন এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে, মানুষের নাভিশ্বাস নয় শুধু, মৃত্যুবরণ করার মতো অবস্থা। আমরা যখন বাজারে যাই তখন এটা টের পাই। সাধারণ মানুষ ডিম কিনতে পারছে না, লাউ, শাক কিনতে পারছে না। কিন্তু ইলেকশনে গুন্ডা, ইউএনও, ডিসিদের জন্য ৬৫ কোটি টাকার গাড়ি দেওয়া হচ্ছে। তাদের আলাদা করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ইতোমধ্যে ডিসি, এসপি যারা নির্বাচন পরিচালনা করবে তাদের কাছে টাকা পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নজিরবিহীন। এর কারণ, এ সরকারকে কোনো কিছুর জন্য জবাব দিতে হয় না। সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার খাদ্য নিরাপত্তার অধিকার তো নিশ্চিত করতে হবে। সেই অধিকার তো গেছেই, আমাদের ভোটের অধিকারটাও কেড়ে নিয়েছে। বিচার পাওয়ার অধিকারও নেই। মগের মুল্লুক তৈরির যে প্রক্রিয়া, এ থেকে তারা সহজে বের হতে চায় না। সুতরাং সরকারকে সরানোর বিকল্প কিছু নেই।

সেমিনারে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘কৃষিতে উৎপাদন-পরবর্তী দুটি ধাপ রয়েছে- মার্কেট চেইন আর সাপ্লাই চেইন। এই দুটি ঠিক না থাকলে উৎপাদন করলেও লাভ নেই। এ সরকারের প্রতিপালিত সিন্ডিকেট এই দুটোই দখল করে রেখেছে। সরকার নিজেই বলেছে- মূল্য নিয়ন্ত্রণ করলেও কার্যকর করতে পারছে না। কারণ, সরকারের সুবিধাভোগীরা মন্ত্রীদের কথা পাত্তা দেয় না। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সোনালী দলের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডির সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফর তুহিন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর