রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংঘাতময় হতে পারে নির্বাচন

যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলে ভারত-চীনের ওপর নির্ভরতা বাড়বে বাংলাদেশের ক্রাইসিস গ্রুপের পূর্বাভাস

প্রতিদিন ডেস্ক

বেলজিয়ামের ব্রাসেলসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ এক পূর্বাভাসে বলেছে, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংঘাতময় হতে পারে। বিতর্কিত ও কারচুপির নির্বাচন হলে বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরে চীন ও ভারতের ওপর বাংলাদেশ সরকারের নির্ভরশীলতা আরও বাড়তে পারে। গত বুধবার ক্রাইসিস গ্রুপের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে চলতি অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে সম্ভাব্য নানা সংঘাত ও সংকটের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের নির্বাচন ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র ও জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা এবং কক্সবাজারে  রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে নানা সংকটের কথাও বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে বিরোধী মতের সমর্থকরা সংঘাতে জড়াতে পারেন। বিভিন্ন দলের কার্যালয় ও নির্বাচনী প্রার্থীদের ওপরও হামলা হতে পারে। সরকারের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলো। জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) প্রতিপক্ষ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে পারে। এ অঞ্চলের সশস্ত্র সংগঠনগুলোর প্রতি সমর্থন বাড়াতে পারে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। এ ছাড়া নব্য-উগ্রপন্থি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘাঁটি গেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বাড়তে পারে। ফলে উত্তেজনাও বাড়তে পারে। ক্রাইসিস গ্রুপ বলছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় আরাকান  রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও এর প্রতিদ্বন্দ্বী রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মতো অপরাধী ও সশস্ত্র  গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত বাড়তে পারে। এতে ভুক্তভোগী হতে পারেন বেসামরিক মানুষ। আরসার মতো বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী সহিংসতা চালিয়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিরোধিতা করতে পারে। এ ছাড়া দাতারা সহায়তা কমিয়ে দিলে রোহিঙ্গা শিবিরে খাদ্য ও কর্মসংস্থানের সংকট দেখা দিতে পারে। অনুদানে ঘাটতি দেখা দিলে শিবিরগুলোয় জাতিসংঘ বাধ্য হয়ে সেবা কমাতে পারে। এতে  রোহিঙ্গারা, বিশেষ করে তরুণরা বিভিন্ন অপরাধ চক্র ও সশস্ত্র গোষ্ঠীতে জড়িয়ে পড়তে পারে। বাড়তে পারে সহিংসতা।

সর্বশেষ খবর