মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনরা আহাজারি আর্তনাদ

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে ঘটনাস্থলে পরিবারের  লোকজন ও আত্মীয়স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে আশপাশের পরিবেশ। রাত হয়ে যাওয়ায় অন্ধকারে দুর্ঘটনায় থাকা মানুষের খোঁজ পাচ্ছেন না তারা।

ভাইয়ের খোঁজ নিতে আসা ভৈরবের আগানগর এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই বিদেশ যাবে বলে ট্রেনে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। হঠাৎ শুনি ট্রেন দুর্ঘটনা। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাচ্ছি। অনেক খোঁজ করেও কোথাও তার সন্ধান পাচ্ছি না। নানির খোঁজ নিতে আসা মো. সফিকুল হোসেন বলেন, আমার নানি ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন। আমাদের বাড়িতে কয়েকদিন আগে বেড়াতে এসেছিলেন। আজকে ট্রেনে করে ঢাকা যাওয়ার জন্য এগারোসিন্ধু  ট্রেনে রওনা দেন। স্টেশন অতিক্রম করার পর শুনি দুই ট্রেনের সংঘর্ষ। এখন আমার নানির সন্ধান পাচ্ছি না। জানি না বেঁচে আছে না মরে গেছে। শারদীয় দুর্গোৎসবে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন ঢাকা কলেজের স্নাতকোত্তরের ছাত্র আফজাল হোসেন (২২)। সোমবার বিকালে এগারো সিন্ধুর ট্রেনে রাজধানীতে ফেরার কথা ছিল। সে অনুযায়ী ট্রেনেও উঠেছিলেন। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনার পর তার খোঁজ মিলছে না। আফজালের বাড়ি ভৈরব উপজেলার রাধানগর গ্রামে। ঘটনাস্থলে ছোট ভাই আফজালকে খুঁজতে এসেছেন তার বড় ভাই রাসেল। তিনি বলেন, আমি শিক্ষকতা করি। ছোট ভাই পূজার ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল। আজ রাজধানীতে ফিরে যাচ্ছিল। কিন্তু সে ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়েছে। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।  সে কোথায় এখন বলতে পারছি না।’ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একইসময় ভৈরব থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন এগারো সিন্ধুর। ভৈরব্ররলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভৈরব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্য নাজমুল হক বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে আহত ও নিহতদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি। গুরুতর আহতদের রক্তের ব্যবস্থা করছি।

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর