মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে দিল আফগানিস্তান

রাশেদুর রহমান

আইসিসি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেল আফগানিস্তান। গতকাল চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাকিস্তানিদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে আফগানরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করে। জবাবে ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করে আফগানিস্তান। ৮ উইকেটের দারুণ এ জয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় ৬ নম্বরে উঠে এসেছেন হাশমতুল্লাহ শহিদিরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ক্রিকেটীয় লড়াই। বাজির দরে নিঃসন্দেহে অনেক এগিয়ে পাকিস্তান। অতীত কিংবা বর্তমান কোনো দিক দিয়েই আফগানদের এগিয়ে রাখার উপায় ছিল না। কিন্তু সব হিসাব বদলে দিলেন ইব্রাহিম জাদরান, রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, নুর আহমদ, রহমত শাহরা। গতকাল ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং কোনো বিভাগেই আফগানদের কাছাকাছি মানের খেলা উপহার দিতে পারেননি বাবর আজমরা। বিশ্বকাপে পাঁচটি করে ম্যাচ খেলে দুই দলই দুটি করে জয় পেয়েছে। ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ৬ নম্বরে অবস্থান করছে আফগানিস্তান। সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে কিছুটা এগিয়ে থাকায় ৫ নম্বরে আছে পাকিস্তান। গতকাল বিশ্বকাপের তৃতীয় অঘটনের দেখা পেলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে আফগানিস্তান ইংল্যান্ডকে ও নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছিল। এবার পাকিস্তানকে হারাল আফগানরা। এর আগে সাতবার ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমে সাতবারই হেরেছিল আফগানিস্তান। অষ্টমবারের লড়াইয়ে জয় পেল তারা। নিজেদের ইতিহাসে এর আগে সর্বোচ্চ ২৬১ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল আফগানিস্তান। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের করা ২৬১ রান ৮ উইকেটে ছাড়িয়ে গিয়েছিল আফগানরা। এবার পাকিস্তানের ২৮২ রানও পাড়ি দিল অনায়াসে। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮২ রান সংগ্রহ করে। আফগান বোলারদের সামলে খুব বেশি রান সংগ্রহ করতে পারেননি বাবর আজমরা। দলের পক্ষে অধিনায়ক বাবর সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন ৯২ বলে। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান। এ ছাড়া আবদুল্লাহ শফিক করেন ৫৮ রান। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। এ ছাড়া শাদাব খান ৪০ ও ইফতিখার ৪০ রান করেন। আফগানিস্তানের পক্ষে ৪৯ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন নুর আহমদ। জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনো করেন আফগান ব্যাটাররা। উদ্বোধনী জুটিতেই রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান করেন ১৩০ রান। রাহমানুল্লাহ ৫৩ বলে ৬৫ রান করে আউট হলেও উইকেটে টিকে থাকেন ইব্রাহিম। তিনি ১১৩ বলে ৮৭ রান করেন ১০টি চারের মারে। রাহমানুল্লাহর ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ১টি ছক্কার মার। দুই ওপেনার আউট হলেও রহমত শাহ ও হাশমতুল্লাহ শহিদি আফগানিস্তানকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যান। রহমত ৭৭ রানে ও হাশমতুল্লাহ ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার জয় করেন ইব্রাহিম জাদরান।

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর