বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইসিতে সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসিতে সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন

নির্বাচন কমিশনের নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়ে যে চিঠি দিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে- অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য ‘প্রত্যাশিত পরিবেশ এখনো হয়ে ওঠেনি।’ তবে অন্য একজন কমিশনার গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘ভোটের অনুকূল পরিবেশ নিয়ে সিইসি অন্য কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করেননি।’ দুজনের এ বক্তব্য কি সমন্বয়ের অভাবের কারণে? এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচনের পরিবেশ ‘ভালো রয়েছে’। কমিশনে তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয়হীনতা নেই। গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একজন সম্মানিত নির্বাচন কমিশনার উনার কথা বলেছেন। আমার কথা হচ্ছে তিনি সম্মানিত একজন ব্যক্তি। সমন্বয়হীনতা নেই। সমন্বয় অবশ্যই আছে।’ ভোটের পরিবেশ আছে কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘থাকবে না কেন, অবশ্যই আছে। ভোটের পরিবেশ থাকবে না কেন, আমি বুঝতে পারছি না!’

আহসান হাবিব খান বলেন, ‘সিইসি বলেছেন প্রত্যাশিত পরিবেশ অনুকূলে নেই।’ অতীতে কখনো সেটা ছিল কি না, সেই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমি আমারটা বলছি, প্রত্যাশিত পরিবেশের কথা বলা হয়েছে। এ রকম প্রতিটি নির্বাচনেই কিন্তু বলা হতো। ধারণাপত্রে কোনো অসত্য কথা বলা নেই।’ ২৬ অক্টোবর গণমাধ্যম সম্পাদকদের এক কর্মশালার আয়োজন করছে ইসি। এতে অতিথিদের পাঠানো আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে একটি ধারণাপত্রও পাঠিয়েছেন সিইসি। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আসন্ন সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে সরকার ও কমিশনের বিষয়ে কতিপয় রাজনৈতিক দলের গণমাধ্যমে প্রচারিত অনাস্থা কাটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণের আস্থা অর্জনের প্রয়াস আমরা অব্যাহত রেখেছি। তবে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল সেটি এখনো হয়ে উঠেনি।’ বলা হয়েছে, ‘প্রত্যাশিত সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে মতভেদের নিরসন হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানতম দলগুলো স্ব স্ব সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে অনড়। রাজপথে মিছিল, জনসমাবেশ ও শক্তি প্রদর্শন করে স্ব স্ব পক্ষে সমর্থন প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ওতে প্রত্যাশিত মীমাংসা বা সংকটের নিরসন হচ্ছে বলে কমিশন মনে করে না। বিষয়টি রাজনৈতিক।’

সর্বশেষ খবর