বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আগের দিন মাঠে থাকবে ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ অক্টোবর বিএনপি ঘোষিত মহাসমাবেশের আগের দিন আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীসহ সারা দেশে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী দলগুলো। আগামীকালের কর্মসূচি সফল করার জন্য সব আয়োজন ইতোমধ্যে ইসলামী দলগুলো শেষ করেছে বলে জানা গেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : তিন দফা দাবিতে আগামীকাল সারা দেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই দাবিতে ৩ নভেম্বর জাতীয় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। দাবিগুলো হলো : সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক  নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল। এ প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম জানান, শুক্রবার ঢাকা জেলার আয়োজনে কদমতলি গোলচত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের দ্রুত মুক্তি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে আগামীকাল রাজধানীসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বাদ জুমা ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ও উপজেলা এবং থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করতে দলীয় নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। এ সরকার বিগত দিনে যতগুলো নির্বাচন করেছে সবগুলোতে ভোট কারচুপি করে দলীয় প্রার্থীদের জিতিয়েছে। কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে গতকাল পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা প্রমুখ।

খেলাফত মজলিস : দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ আট দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল সারা দেশে গণমিছিল করবে খেলাফত মজলিস। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে গণমিছিল করবে। দাবিগুলো হলো- ১. দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। ২. নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ৩. গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করা। ৪. রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করা। ৫. দ্রব্যমূল্য কমিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতি নির্মূল করা। ৬. বেকার সমস্যা সমাধান ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া এবং ৭. ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ ও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করা। এ প্রসঙ্গে আবদুল জলিল বলেন, চলমান আর্থ-সামজিক ও রাজনৈতিক সংকট সমাধানে খেলাফত মজলিস ঘোষিত দাবি বাস্তবায়ন দেশ-জাতির মুক্তির জন্য অপরিহার্য। বিশেষ করে দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর