রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র

পুলিশ সদস্য নিহত ♦ প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা ♦ পুলিশ বক্স ও যানবাহনে আগুন ১৭ সাংবাদিকসহ আহত শতাধিক ♦ বিজিবি মোতায়েন ♦ সহিংসতার নিন্দায় যুক্তরাষ্ট্র

বিশেষ প্রতিনিধি

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র

সমাবেশ ঘিরে গতকাল রাজধানীতে বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ আগুন। হামলায় মারা যান পুলিশ সদস্য -রোহেত রাজীব

বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে গতকাল পুলিশের সঙ্গে রাজধানীতে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল বিনিময়, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে কাকরাইল, বিজয়নগর, নয়াপল্টন, রাজারবাগ, সার্কিট হাউস রোড, আরামবাগসহ বিস্তীর্ণ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিজয়নগরে বিএনপি কর্মীরা একজন পুলিশ সদস্যকে একা পেয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। কাকরাইলে তারা হামলা চালান প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। আগুন ধরিয়ে দেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে। এতে হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ও পাঁচটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। কাকরাইল পুলিশবক্সেও আগুন দেন বিএনপি কর্মীরা। পুলিশ লাঠিচার্জের এক পর্যায়ে গুলি, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এসব সংঘর্ষের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অন্তত ১৭ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর অধিকাংশই আহত হন বিএনপি কর্মীদের হামলায়। তারা ভাঙচুর করেছেন গণমাধ্যমের বেশ কয়েকটি গাড়িও। পরিস্থিতি বিবেচনায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয় রাজধানীতে। এ অবস্থায় পুলিশকে একা চলতে নিষেধ করা হয়েছে।

দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে একজন পুলিশ নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিদের ভর্তি করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে। তবে বিএনপি দাবি করেছে, নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা শামীম মোল্লা। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, বিএনপির কেউ মারা গেছে বলে আমাদের জানা নেই।

তবে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. রেজাউল হায়দার বলেছেন, শামীম মোল্লার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদ্?রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। রেজাউল হায়দার বলেন, বিকালে পুলিশ হাসপাতালের সামনে যখন পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হচ্ছিল, সে সময় ওই ব্যক্তি হাসপাতালের সামনের পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি একজন চিকিৎসকের গাড়ি চালাতেন বলে জানা গেছে।

নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম আমিরুল ইসলাম পারভেজ। বয়স ৩২। তিনি ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এ কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে। সাত বছরের একটি সন্তান রয়েছে তার।

বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা ছিল বেশ কদিন ধরেই। গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর প্রবেশপথগুলো দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে থাকেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীও মতিঝিল শাপলা চত্বর দখল নিতে সকাল থেকেই আরামবাগে অবস্থান নেয়। শাসকদল আওয়ামী লীগের মিছিলও রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সমাবেশস্থলে যেতে থাকে। মিছিলের নগরীতে পরিণত হওয়া রাজধানীতে তখন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা রাজধানী।

যেভাবে সংঘর্ষ : শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে চলবে- এ শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে গতকাল ঘোষিত সমাবেশ শুরুর আগেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ! হঠাৎ হামলা শুরু করেন বিএনপি কর্মীরা। দুপুর ১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা পূরণ তারা। এখান থেকে ধীরে ধীরে কাকরাইল, পল্টন, শান্তিনগর, আরামবাগ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিএমপির ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরাই প্রথমে সরকারি স্থাপনায় হামলা করেছে। বিএনপি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে করার কথা দিয়েছিল। ডিএমপি কমিশনারের কাছ থেকে তারা এমন শর্তেই অনুমতি নিয়েছে। হঠাৎ দুপুর ১২টার পর তারা প্রধান বিচারপতির বাড়ির ফটকে ও জাজেস কোয়ার্টারের সামনে (বিচারকদের বাসভবন) আক্রমণ করেছে। আইডিবি ভবনের সামনে দুটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। পুলিশ সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালান। তারা ভিতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এর মধ্যেই কাকরাইল ট্রাফিক পুলিশবক্সে আগুন দেন বিএনপি অনুসারীরা। পুলিশ বাধা দিতে গেলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনার রেশ ধরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।

রমনা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক দফা টিয়ার শেল ছোড়া হয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় বিএনপি সমর্থকরা। কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, হাই কোর্ট এলাকা, পল্টন থেকে বিজয়নগর পর্যন্ত এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশকেন্দ্রিক পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা : পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে সাতটি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্স, একটি মাইক্রোবাস ও পাঁচটি মোটরসাইকেল রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক বলেন, বিকাল সোয়া ৩টার দিকে হাসপাতালের ফটকে ও হাসপাতাল চত্বরে রাখা পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি বাইসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের দুটি ও খিলগাঁওয়ের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি ছিটিয়ে বিকাল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে গিয়ে প্রতিন্ধকতার মুখে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তরা সড়কে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করছিল। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসপাতালের ফটকে আগুন নেভায়। তবে এর আগেই দুর্বৃত্তরা পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি বাইসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেয়।

১৭ সাংবাদিক আহত : সমাবেশ কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক কালবেলার রাফসান জানিসহ অন্তত ১৭ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। সাংবাদিকদের কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেওয়া হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হন ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সালেকিন তারিন। তাকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। সাংবাদিক রাফসানকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাফসান বলেন, নাইটিঙ্গেল মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। আমি আর বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল ভাই কাছাকাছি ছিলাম। এর মধ্যে দেখলাম দুজন পুলিশ ও একজন আনসার সদস্যকে কাকরাইলের দিকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করা হচ্ছে। ২০-২৫ জন বিএনপি কর্মী রাস্তায় ফেলে পেটাচ্ছে। আমি শুধু রাস্তার এপার থেকে এসে মাঝখানের সড়ক বিভাজকের ওপর দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলাম। আমার গলায় আইডি কার্ড ঝোলানো ছিল, ওই পাশ থেকে দু-তিন জন এসে ধাওয়া দিল। সাংবাদিক, সাংবাদিক বলে চিৎকার করে আমাকে ধাওয়া দিল এবং বেধড়ক মারধর করল।

বিভিন্ন স্থানে মারধরে আরও আহত হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন ও নিজস্ব প্রতিবেদক জোবায়ের আহমেদ, নিউ এজের আহাম্মদ ফয়েজ, কালবেলার আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল ও তৌহিদুল ইসলাম তারেক, ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ, একুশে টিভির রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন আরিফুর রহমান, দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শেখ নাছের ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মারুফ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যারা ভর্তি রয়েছেন : নাসির (২৫), সুজন (২০), নওয়াব আলী (৬০), জাফর (৩০), কালাম (৫৫), আলামিন প্রধান (২৫), রাফিন (২২), মারুফ (৪৬), এ বি এম রাজু (৪৫), হুমায়ুন কবির (৩৫), লিয়ন (২২), আকলিমা (৩৫), সজীব হোসেন (২৬), সালেক (৩০), সজীব ভূঁইয়া (৩০), রাফসান জানি (৩০), মাসুম (৩২), বিল্লাল (২৫), রুবেল (২৫), কালাম (৩৮), নান্নু (৩৫), আকরাম (২০), মানিক (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৩০), রাজু আহামেদ (৩৫), কবির (২৫), নয়ন (২৬), এমদাদুল (২৭), আনোয়ার (৪০), জমি (৩৪), হিয়া (২০), রাসেল (১৮), রোকসানা (৪২), রোমান (২৮), আরিন (৫২)। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এএসআই সামাদ, নায়েক আবদুর রাজ্জাক, কনস্টেবল আসাদুজ্জামান, কাইয়ুম ও তুরাগ থানার আনসার সদস্য হোসেন আলী। এদিকে গত রাতে প্রধান বিচারপতির ভাঙচুর করা বাস ভবন পরিদর্শন করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আমিন উদ্দিন।

সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র : ঢাকায় রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। গতকাল সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগ, ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বিভিন্নভাবে এ নিন্দা জানান। লু বলেছেন, সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে আমরা সব সহিংসতার ঘটনাগুলোকে পর্যালোচনা করব। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগ এক্স হ্যান্ডলারে (সাবেক টুইটার) প্রতিক্রিয়ায় সব পক্ষকে শান্ত এবং নিজেদের সহিংসতা থেকে নিবৃত্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়। সহিংসতার ঘটনায় সম্ভাব্য ভিসা বিধিনিষেধের বিষয়ও তাতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় যে রাজনৈতিক সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তার নিন্দা জানায়। একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন রাজনৈতিক কর্মী হত্যা এবং একটি হাসপাতাল পোড়ানোর ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাও তেমনই।

মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘আমরা সব পক্ষকে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানাই। সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আমরা সমস্ত সহিংস ঘটনার পর্যালোচনা করব।’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ভয়েস অব আমেরিকাকে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে। একজন পুলিশ অফিসার ও একজন রাজনৈতিক কর্মীর নিহত হওয়া ও একটি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার যে ঘটনাগুলোর খবর জানা গেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়, যেমন নয় সাংবাদিকসহ নাগরিকদের ওপর চালানো সহিংসতা। আমরা সব পক্ষকে শান্ত থাকার ও সংযম দেখানোর আহ্বান জানাই। সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে আমরা সব সহিংসতার ঘটনাগুলোকে পর্যালোচনা করব।

সর্বশেষ খবর