রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

লজ্জার শেষ কোথায়

ভারত মহাসাগরের দুই পাড়ের দুই শহর ডারবান ও কলকাতা। দুটি শহরই ঐতিহাসিক। দুটি শহরের আলাদা পরিচিতি রয়েছে ক্রিকেটের জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান থেকে ভারতের কলকাতার দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কিলোমিটার (৮৪৫১)। দুটি শহরই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ভীষণ পরিচিত নাম। শহর দুটি এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে সমোচ্চারিত শব্দ এবং দুঃস্বপ্নের নাম। ২০ বছর আগে, ২০০৩ সালে ডারবানের কিংসমিডের দুঃস্বপ্ন গতকাল ফিরেছে কলকাতায়! দুই দশক আগে বিশ্বকাপে কিংসমিডে আইসিসি সহযোগী দেশ কানাডার কাছে ৬০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। হেরেছিল কেনিয়ার কাছেও। দুই দশক ধরে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ইতিহাসে কানাডার কাছে ওই হারটাই ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অঘটন। গতকাল কানাডার পাশে নাম লিখেছে আইসিসির আরেক সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডস। দুরন্ত ক্রিকেট খেলে ‘নন্দনকানন’ ইডেনে লজ্জায় ফেলেছে সাকিবদের। ৮৭ রানে হারের পর টাইগার অধিনায়ক সাকিব নিঃশঙ্কচিত্তে স্বীকার করেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ।’ বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলছে ১৯৯৯ সাল থেকে। সেবার দুটি ম্যাচ জিতেছিল। হারিয়েছিল স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তানকে। ২০০৩ সালে দুঃস্বপ্নের বিশ্বকাপে হেরেছিল কানাডা, কেনিয়াসহ গ্রুপের সবগুলো দলের কাছে। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ছিল স্বপ্নের। ভারতকে হারিয়ে সুপার এইট খেলে বাংলাদেশ। সুপার এইটে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ২০১১ সালে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে টাইগাররা। সেবার আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন সাকিবরা। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানকে হারায়। এবার আফগানিস্তানকে হারালেও হেরেছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের কাছে। এখনো খেলা বাকি তিনটি- ৩১ অক্টোবর পাকিস্তান, ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল নন্দনকাননে নেদারল্যান্ডসকে ২২৯ রানে আটকে রেখেও ১৪২ রানে অলআউট হন সাকিবরা।

সর্বশেষ খবর