রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সারা দেশে বিএনপির হরতাল আহ্বান

রাতেই চার বাসে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। সমাবেশে বাধার অভিযোগে হরতালের ডাক দিয়ে মহাসমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করে দলটি। গতকাল বিকালে নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন। নির্ধারিত সময়ের সোয়া এক ঘণ্টা আগে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই মহাসমাবেশ হয়। একই দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশ করে সমমনা দলগুলো। বিএনপির সঙ্গে মিল রেখে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে তারাও।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলি করে দেশের মানুষের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে এই সরকার। এরা ভোট চোরদের অংশীদার। এই ভোট চোরদের ছাড় দেওয়া যাবে না।

সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব লিটন মাহমুদ। সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে সংঘর্ষে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ অনেকে আহত হয়েছেন। এদিকে শুক্রবার রাতে মহাসমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পরপরই নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ভোর হতেই সারা দেশ থেকে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্রোত শুরু হয়। রাজধানীর চারপাশ থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর মিছিল আসতে থাকে নয়াপল্টনে। সকাল ১০টা বাজতেই জনসমুদ্র হয়ে যায় নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, কাকরাইল, বিজয়নগর এলাকা। সরকারবিরোধী নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। মহাসমাবেশে মহানগরের বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন। সুমন ভূঁইয়া, বদরুল আলম সবুজ, হামিদুর রহমান হামিদ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, মকবুল হোসেন সরদার, শহীদ উল্লাহ মজুমদার, আবদুল মতিন, দেলোয়ার হোসেন দুলু, হালিম উল্লাহ মজুমদার, আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, মনোয়ার হাসান জীবন, সেলিম মিয়া, আশরাফুল রহিমসহ ঢাকা ও সারা দেশের বিভিন্ন জেলা মহানগর থেকে আগত বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা মিছিল নিয়ে আসেন। নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে সকাল থেকেই মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিএনপির মহাসমাবেশ। এ সময় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও কাউকে বাধা দেননি। বিএনপি নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে উৎসবের আমেজে সমাবেশ করতে থাকেন।

 

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ বদলে যায় পরিস্থিতি। কাকরাইল মসজিদের সামনে পিকআপে করে শান্তি সমাবেশে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। বিএনপি নেতা-কর্মীদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড, গুলি ও টিয়ার শেল ছুড়তে থাকে তারা। বিএনপি নেতা-কর্মীরাও ইটপাটকেল ছুড়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিএনপি কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। বেলা দেড়টার দিকে পুলিশের সঙ্গে এসময় ১০ প্লাটুন বিজিবি নয়াপল্টনে অভিযানে নামে। নয়াপল্টন সড়কে অবস্থান নেওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। বিএনপি নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আশপাশের গলিতে অবস্থান নেন। সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করে নয়াপল্টন কার্যালয়ে অবস্থান নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে সমাবেশের কারণে পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। নাইটিংগেল মোড় থেকে মতিঝিল, পুরানা পল্টন, দৈনিক বাংলা, কাকরাইল থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনসহ এর আশপাশের এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

গুলিবিদ্ধ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী : সংঘর্ষে আহত হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েলসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এদিকে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য হাজী মোহাম্মদ নাজিম, বিএনপি দক্ষিণের রোকাইয় হক রুকু, শাহবাগ থানা গুলিবিদ্ধ হন, মো. সুমন, মো. হাসান, মো. রফিক, মো. আমির, মো. মোস্তফা, মো. সুলতান, মো. জসিম, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি, মোরশেদ আলমকে পুলিশের টিয়ার শেল মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিস্তান ইউনিট বিএনপির কর্মী  মো. নবীকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হানিফ পুলিশের লাঠির আঘাতে পায়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক  আর এ গনি মোস্তফা আহত হন। নিউমার্কেট থানাধীন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক, জসিম, মালেক, সাগর, গনি, সনি, শরীফ, সুমন, সাত্তার, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভান্ডারী, জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাগর দেওয়ান ফারহান, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী রুবেল, বাছির, রিপন, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের চানখাঁরপুল ইউনিটের পাপ্পু  পুরো শরীরে ছররা গুলি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। রমনা থানা বিএনপি নেতা কমিশনার চৌধুরী আলমের ছেলে শাওন চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হন।

রাজধানীতে বাসে আগুন : রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দাউ দাউ করে বাসটি আগুনে জ্বলতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়। কারা বাসে আগুন লাগিয়েছে জানতে চাইলে পুলিশের রমনা থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়েছে।

বাসটি পুড়তে থাকার পাশেই রাস্তায় বসে কাঁদছিলেন চালক মনির হোসেন। তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের আনা-নেওয়ার জন্য বাসটি নিয়োজিত ছিল। বাসে একদল পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বিকাল ৫টার সময় তিনি এখানে আসেন। পুলিশ সদস্যরা নেমে যাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে বাসে আগুন দেওয়া হয়।

ঘটনা সম্পর্কে মনির হোসেন বলেন, হঠাৎ দুজন যুবক এসে বাসে পেট্রল ছিটিয়ে ম্যাচের কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো বাস জ্বলতে থাকে। আগুন দেওয়ার পর ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে কাকরাইল মোড় দিয়ে চলে যায়।

বিভিন্ন স্থান থকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুযায়ী, গতকালের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নরসিংদীতে ট্রেন তল্লাশি করে পুলিশ বিএনপির ৬০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে, মহাসমাবেশে অংশ নিতে আসার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুঁইয়া, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ও ছাত্রদল নেতা বুলবুল। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আরও ৪৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানিকগঞ্জে বিএনপির তিনজন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে, সাভারের আমিনবাজার-গাবতলীসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পুলিশের তল্লাশির সময় বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতা আটক হয়েছেন, বগুড়ায় বিএনপি-জামায়াতের ১৬ নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন, ধামরাইয়ে মহাসড়কে টায়ারে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়ে আটক হয়েছেন দুজন, কেরানীগঞ্জে পুলিশের তল্লাশির সময় আটক হয়েছেন অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী, রূপগঞ্জে আটক হয়েছেন ১৫ নেতা-কর্মী, রাজবাড়ী-গোয়ালন্দ মোড় থেকে ২৭ জামায়াত নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন, বরিশালে আটক হয়েছেন বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী, ফরিদপুরে আটক হয়েছেন ৬ নেতা-কর্মী। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশি তল্লাশির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাভারে বাসে ও কুলাউড়ায় ট্রেন লাইনে আগুন : সাভারের হেমায়েতপুর হরতালের সমর্থনে একটি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। গতকাল রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর আলমনগর কফিল উদ্দিন  ফিলিং স্টেশনে সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, রাতে বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন  ফিলিং স্টেশনে সামনে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় সাভার ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুরো বাসটি আগুনে পুড়ে যায়। বাসটিতে যাত্রী না থাকায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মৌমিতা বাসের চালক জানিয়েছেন, বিএনপি ও জামায়াতের হরতাল থাকায় হরতালকারীরা বাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, কারা বাসটিতে আগুন দিয়েছে- তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ছকাপন রেলস্টেশনের কাছে টায়ারে আগুন ধরিয়ে রেললাইনের ওপর ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। পরে ট্রেন থামিয়ে চালক ও যাত্রীরা টায়ার সরান। এরপর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে গতকাল রাত সোয়া ৯টার দিকে। কুলাউড়া জংশন স্টেশনের মাস্টার রোমান আহমদ মুঠোফোনে বলেন, দুর্বৃত্তরা একটি টায়ারে আগুন ধরিয়ে তা ছকাপন রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইনের ওপর ফেলে রেখেছিল। রাত ৯টা ২০ মিনিটে সিলেট থেকে ঢাকাগামী সুরমা মেইল এক্সপ্রেস ওই এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় রেললাইনে আগুন দেখে চালক ট্রেন থামিয়ে দেন। পরে চালকসহ যাত্রীরা নেমে আগুন লাগানো টায়ারটি রেললাইন থেকে সরিয়ে ফেলেন। এরপর ট্রেনটি আবার গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।

এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি কলেজ গেট এলাকায় একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রাত ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৪/৫ জন যুবক কোনাবাড়ি কলেজ গেটে আজমেরি পরিবহনের একটি বাসে ভাঙচুর শুরু করে। পরে তারা পেট্রোল ঢেলে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তারা ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দেন। বাসটি ওখানে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল।

সর্বশেষ খবর