শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওমানের ভিসা নিয়ে যা বলল মন্ত্রণালয় ও দূতাবাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের ভিসা আছে, তাদের ওমান যেতে কোনো বাধা নেই। এ ছাড়া দেশটি বাংলাদেশের জন্য যে ভিসা স্থগিত করেছে, তা শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে। গতকাল বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে গতকাল ঢাকার ওমান দূতাবাস এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ওমানি শ্রমবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা স্থগিতের সাময়িক পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই।

গতকাল ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (ওমান) কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি, খুব শিগগিরই তাদের দেশ আমাদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, মাস দুয়েক পর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়। এ ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ওমানে বিদেশি শ্রমিকদের অর্ধেক হলো বাংলাদেশি। যে কোনো বাজারে সীমাহীন চাহিদা থাকে না। যে চাহিদা নিয়ে কর্মীরা গেছেন তার কিছু ব্যত্যয় হয়েছে, কিছু অপপ্রয়োগ হয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীরা অপব্যবহার করেছে। এর ফলে ভিসা স্থগিতের বিষয়টি এসেছে। অবৈধভাবে অভিবাসী না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সবকিছু খুইয়ে বিদেশ গিয়ে নিঃস্ব হওয়ার কোনো দরকার নেই।

গতকাল ওমান দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওমান অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও প্রশংসার সঙ্গে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের ওমানের উন্নয়ন কর্মকান্ডে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে। বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিতের বিষয়টি মূলত ওমানে বিদেশি শ্রমবাজার সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিচালিত সার্বিক সমীক্ষা পর্যালোচনার অংশবিশেষ। ভিসা স্থগিতের সিদ্ধান্ত অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রেও সমভাবে কার্যকর করা হয়েছে এবং সিদ্ধান্তটি প্রকৃতভাবে একটি সাময়িক পদক্ষেপ।

 সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে যাতে এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে চলমান পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় ভিসা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা যায়। পর্যালোচনা প্রক্রিয়াটি বেশকিছু কারিগরি ও আইনি কাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, যার লক্ষ্য প্রবাসী শ্রমিক ও নিয়োগকর্তার স্বার্থ রক্ষা করার পাশাপাশি ওমানে বিদেশি শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। ওমান বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আন্তরিকভাবে মূল্যায়ন করে। ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ মাসে অন্তত ১ লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশি ওমানে গেছেন। এ মুহূর্তে ওমানে বিভিন্ন দেশের কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ, যার মধ্যে বাংলাদেশি কর্মীই সর্বোচ্চ, প্রায় ৮ লাখ।

সর্বশেষ খবর