রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
রাজধানীতে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এবারও নৌকা জিতবে

কানা-খোঁড়া বা যাকেই মনোনয়ন দেব বিজয়ী করবেন ♦ ষ যে হাতে আগুন দেবে সেই হাত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে হবে ♦ ষ কারখানা ভাঙচুর করলে রুটিরুজির পথ বন্ধ হবে ♦ ষ মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য উপহার, এখন পাতালরেল করব

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবারও নৌকা জিতবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রাজধানীর আরামবাগে জনসভায় বক্তব্য রাখেন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনের তফসিল যে কোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচনে কানা, খোঁড়া বা যাকেই প্রার্থী দিই তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। এবার নৌকা জিতবেই।

গতকাল বিকালে এমআরটি লাইন-৬-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালু এবং  এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের (সাভার-ভাটারা) নির্মাণকাজ উদ্বোধন করে আরামবাগে এক বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিভাগীয় আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।

দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আবারও যেন আমরা এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি। এখনো অনেক উন্নয়নকাজ বাকি। সেগুলোও যেন শেষ করতে পারি। কারণ অগ্নিসন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীরা ক্ষমতায় এলে এ দেশটাকে টিকতে দেবে না। সেজন্যই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আগুনসন্ত্রাস কীভাবে বন্ধ করতে হয় জানা আছে : বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধে আগুনসন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালাও-পোড়াও আর ধ্বংস করাই বিএনপির চরিত্র। তাদের আন্দোলন অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন করা। এ আন্দোলন বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় কীভাবে বন্ধ করতে হয় তা আমাদের জানা আছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি মানেই ধ্বংস। ২৮ অক্টোবর তারা রাস্তায় পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করল, আওয়ামী লীগ ও মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করল। এটাই কি রাজনীতি? অথচ পুলিশ সেদিন যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিয়ে পোড়াবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। দরকার হলে তাদের ধরে ওই আগুনের মধ্যে ফেলতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই হাত আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। তা হলেই তাদের শিক্ষা হবে। সরকারপ্রধান বলেন, তারা সাধারণ মানুষের বাসে আগুন দেয়, গাড়িতে আগুন দেয়। কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছে, তাদের গাড়ি নাই? তারা গাড়িতে চড়ে না? তাদের জিনিসপত্র নাই? জনগণ যদি সেগুলো পোড়াতে শুরু করে তাহলে কোথায় যাবে, কী করবে সেটাও তাদের ভাবা উচিত। আমরা ওসবে বিশ্বাস করি না দেখে এখনো ধৈর্য ধরে আছে দেশের মানুষ। কিন্তু কতদিন? বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ ও পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মজুরি কমিশন বসেছে। ধৈর্য ধরতে হবে। কারা উসকানি দিচ্ছে, সেটা আমরা জানি। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বলব, হুকুমদাতা দেশেই থাকুক, বিদেশেই থাকুক, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, আর ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ গ্রহণ করে হুকুম জারি করছে। বিদেশ থেকে ধরে এনে শাস্তি দেব ওই কুলাঙ্গারকে। কেউ ছাড়া পাবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বাসে আগুন দেয়। একটা হেলপার ঘুমিয়ে ছিল, সে কিছু জানেও না। সেই বাসে আগুন দিয়ে হেলপারকে হত্যা করেছে। আর ২০১৩, ১৪, ১৫-তে আপনারা দেখেছেন, ছেলেকে রেখে বাবা পানি আনতে গেছে, এদিকে ট্রাকে আগুন দিয়েছে। সেই আগুনে পুড়ে ছেলের কি চিৎকার! আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে আছে। এভাবে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মানুষকে পুড়িয়েছে, ৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে, ৫২৫টি স্কুল, ৩ হাজার গাড়ি এবং ২৯টি রেল পুড়িয়েছে। সমাবেশে ঢাকা বিভাগের প্রতিটি জেলা-উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় এমপিরা সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান এমপি ও এমপি পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ব্যাপক শোডাউন করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এটিই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় জনসভা। বিকাল ৩টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার মধ্যে আরামবাগের রাস্তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বেলা ২টায় আরামবাগ থেকে মতিঝিল, কমলাপুর, ইত্তেফাক মোড়, দৈনিক বাংলা, নয়াপল্টন-কাকরাইল, ফকিরাপুল, শাহজাহানপুরসহ চারপাশে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল লোকে লোকারণ্য। নানা স্লোগানে, নাচে-গানে আর বর্ণিল মিছিলে মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাকা মহানগরীর এ প্রাণকেন্দ্র। মহানগরীর অলিগলিতে গণমানুষের ঢল নামে। নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। সরকারের উন্নয়নচিত্র এবং বর্তমান এমপি ও এমপি প্রার্থীদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড। রংবেরঙের টি-শার্ট, ক্যাপ পরে উপস্থিত হন কর্মীরা। তারা সমর্থিত প্রার্থীর নামে স্লোগানও দেন।

তারা শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষ হয়েছে। উসকানি দিচ্ছে তারা (বিএনপি)। অথচ এই শ্রমিকরা দীর্ঘদিন কাজ করেছিল। বিএনপির আমলে সেই গোড়া থেকে মাত্র ৫০০ টাকা মজুরি ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে পোশাকশ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এরপর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরও বেতন বাড়ানো হয়। বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এক টাকাও বেতন বাড়ায়নি।

কারখানা ভাঙচুর করলে রুটিরুজির পথ বন্ধ হবে : শ্রমিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, যে কারখানা আপনাদের রুটিরুজি দেয়, শ্রম দিয়ে পয়সা কামাই করেন, সেই কারখানা ভাঙচুর করলে আল্লাহও নারাজ হবে। আপনাদের যা প্রয়োজন হয়, অসুবিধা হয় আমরা দেখি। পারিবারিক কার্ডও নিতে পারেন। এ সময় কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য সরকার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, অন্যের কথায় নেচে কারখানায় হামলা করে, কারখানা ভেঙে, সেখানে অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশের ক্ষতি করলে নিজেরই ক্ষতি হবে। আর কারখানা বন্ধ করলে গ্রামেই ফিরে যেতে হবে। বিনা কাজে জীবনযাপন করতে হবে। তিনি বলেন, মজুরি কমিশন বসেছে, ধৈর্য ধরতে হবে। কারা উসকানি দিচ্ছে সেটা আমরা জানি। ভাঙচুরে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না।

আল্লার মাইর দুনিয়ার বাইর : শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না! শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারবে না। আল্লার মাইর দুনিয়ার বাইর। এখন নিজেই (খালেদা জিয়া) ভেবে দেখুক কে কোথায় আছে। তার ওই কথা আজকে তাদের বেলায় ফলে গেছে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। ইনশা আল্লাহ আগামীবারও জনগণ নৌকায় ভোট দেবে এবং জনগণের সেবা আমরা করে যাব। শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্র তারা চালিয়ে যাচ্ছে। ওরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই বোঝে। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে তারা যেন মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, কথায় কথায় তারা বিদেশের মানুষের কাছে নালিশ করে। কারণ দেশের মানুষের কাছে ঠাঁই নাই। বিদেশে নালিশ করা তাদের বদভ্যাস। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।

মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য উপহার, যতেœ ব্যবহার করবেন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ (শনিবার) আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করলাম। এ মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য উপহার। তবে মেট্রোরেল ব্যবহারে আমাদের যত্নবান হতে হবে, যাতে এর ক্ষতি না হয়। যারা উত্তরায় বসবাস করেন তারা মাত্র ৪০ মিনিটে প্রতিদিন মতিঝিল আসা-যাওয়া করতে পারবেন। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ২৫ হাজার যাত্রী চলাচল করছে। আমি মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত এ মেট্রোরেল বর্ধিত করেছি। সেটার কাজও চলছে।

এখন পাতালরেল করব : সরকারপ্রধান বলেন, সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতালরেল হবে। আকাশরেল দেখলাম, এখন পাতালরেল আমরা করব। সেটা নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে এমআরটি লাইন ফাইভ, অর্থাৎ পাতালরেলের কাজ উদ্বোধন করে দিয়েছি। এটাও ঢাকাবাসীর জন্য উপহার আমি দিয়ে গেলাম। এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। এটার সমীক্ষা চলছে। মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য ১২ হাজার প্রকৌশলীর চাকরির ব্যবস্থা হচ্ছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেলে চড়ে আমি এ অনুষ্ঠানে এসেছি। যানজটে কষ্ট পেতে হবে না, রাস্তায় আটকে থাকতে হবে না। যারা চাকরিজীবী, যারা কর্মজীবী, ছাত্র-শিক্ষক সবাই, বিশেষ করে আমার মেয়েরা, নারীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে এই মেট্রোরেলে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, আমি জাতির পিতার কন্যা। আমি দেশের সম্পদ অন্যের হাতে তুলে দিতে পারি না। কিন্ত খালেদা জিয়া ২০০১ সালে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শুরু করেছিল হ্যাঁ-না ভোট। আর ভোট কারচুপির প্রক্রিয়া। এরশাদও একই কাজ করেছে। খালেদা জিয়াও ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করেছিল। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী জনসভায় সভাপতিত্ব এবং ঢাকা জেলা, মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে পনিরুজ্জামান তরুণ, এসএম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় এমপি ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলেয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সদস্য সাঈদ খোকন, আনোয়ার হোসেন, এ কে এম শামীম ওসমান এমপি, সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ প্রমুখ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম মঞ্চে না উঠে সাধারণ কর্মীদের কাতারে বসে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ দেন। এ ছাড়া প্রত্যেক জেলা থেকে একজন করে বক্তৃতা করেন।

মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল গেলেন প্রধানমন্ত্রী : গতকাল দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মেট্রোরেলে চড়ে মতিঝিল স্টেশনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ট্রেনের ভিতরে বসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে ও জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাবে। জনগণ আওয়ামী লীগের কাছে যা চাইবে তাই পাবে। বাংলাদেশ পথ হারায়নি। তিনি বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। শুধু দেশে নয়, বিশ্বেও আমরা শান্তিশৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। দেশের মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর আগে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দীর্ঘপ্রতীক্ষিত মেট্রোরেল সার্ভিসের দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে পতাকা নেড়ে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাড়াও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একসঙ্গে যেন হাজারো মানুষ চলতে পারে, কর্মঘণ্টা বাঁচে, আর্থিকভাবে লাভবান হয় এবং যানজট থেকে মুক্তি পায়। সেই উদ্দেশ্যেই যোগাযোগব্যবস্থার কাজ শুরু করেছিলাম। আজ তা বাস্তব। তিনি বলেন, আজ আমাদের আরও একটা স্বপ্নযাত্রা পূর্ণ হলো। আমরা খুবই আনন্দিত। উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করছি। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত একটি স্টেশন করা হবে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট যোগাযোগব্যবস্থা, স্মার্ট সমাজ। সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে চলবে না, নিজের পায়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

সর্বশেষ খবর