রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত দেড় শতাধিক

প্রতিদিন ডেস্ক

এক মাসের মধ্যে তৃতীয় দফায় ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে নেপাল। শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৪। এতে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান। গতকাল পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধারে সারাদিন উদ্ধারকারীরা তৎপর ছিলেন। খবরে ১৫৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে। আহতের সংখ্যা ২ শতাধিক। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এ নিয়ে গত এক মাসের মধ্যে তিনবার কেঁপে উঠল ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল। ২২ অক্টোবরও কেঁপে উঠেছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের ধাদিং জেলা। এর ঠিক দুই দিন পরে আবার ভূমিকম্প হয় নেপালে। মাত্রা ছিল ৪.১। ৩ অক্টোবরও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। পর পর চারবার ভূমিকম্প হয়েছিল নেপালে। ন্যাশনাল আর্থকোয়াক মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার দিনগত রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে সর্বশেষ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানটি ছিল কাঠমান্ডু থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের জেলা জাজারকোট ও পশ্চিম রুকুম।। এ দফার ভূমিকম্প তছনছ করে দিয়েছে নেপালের পশ্চিমাঞ্চল। গভীর রাতে আঘাত হানার কারণে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎস ছিল জাজারকোট জেলায়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাজারকোট এবং পশ্চিম রুকুম এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, শুধু জাজারকোটেই নিহত হয়েছে ৯২ জন। এর মধ্যে আছেন নালগাদ মিউনিসিপ্যালিটির ডেপুটি মেয়র সারিতা সিং-ও। জাজারকোটের রামিদান্দা এলাকায় কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত ও ৭০ জন আহত হয়েছেন। পশ্চিম রুকুমের ডিএসপি নামারাজ ভট্টরাই বলেন, সেখানে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। জেলার মুখ্য কর্মকর্তা সুরেশ সুনার বলেছেন, ভূমিকম্প সবচেয়ে  জোরালোভাবে আঘাত করেছে জাজারকোট জেলার ভেরি, নালগাদ, কুশে, বারেকোট এবং ছেদাগাদে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নেপালের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ভারতের দিল্লি-এনসিআরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। নেপালে কম্পনের কেন্দ্র ছিল মাটি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার নিচে। নেপালের সংবাদমাধ্যম জানায়, ভূমিকম্প আঘাত হানার কিছুক্ষণের মধ্যে অনেক বাড়িঘর তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে। বহু বাড়িতে চওড়া চওড়া ফাটল ধরেছে। ইট-কাঠ-সিমেন্টের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণের জন্য তিনটি নিরাপত্তা সংস্থা কাজ করছে। নেপালের সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাজারকোটের হাসপাতাল আহত মানুষে পরিপূর্ণ। স্থানীয় পৌর মেয়র জানিয়েছেন, মানুষের মাঝে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর