সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটের তারিখ  রেখে  নভেম্বরের  দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। গতকাল ভোটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে প্রস্তুতিমূলক সব কাজ প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানগণ ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিব, অধিদফতর/ সংস্থার কর্ণধারদের সঙ্গেও সভা করা হয়েছে। সবাইকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে; সবাই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বাসও দিয়েছেন। বিগত ৪ নভেম্বর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে ইসির প্রস্তুতি অবহিত করা হয়েছে, পাশাপাশি দলগুলোর পরামর্শ ও মতামত কমিশন শুনেছে। তিনি জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে যা যা করা দরকার সবই করা হচ্ছে; সবাইকে ভোটে অংশ নেওয়ার আহ্বান থাকছে সব সময়। ভোটারদের জন্য নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে কমিশন আন্তরিকভাবে সচেষ্ট থাকবে। আহসান হাবিব খান বলেন, ‘দলগুলোর প্রতি আহ্বান থাকবে মতভেদ, মতানৈক্য নিরসন করে ভোটে আসুন। নির্বাচন কমিশন সম্মানিত ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণে সর্বদাই গুরুত্ব দিয়ে আসছে এবং ইনশাহআল্লাহ সুন্দর একটা নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর আমরা।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভব্য তিনটি তারিখ ধরেই নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী মালামাল পাঠানো শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক সভা করে সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করবে কমিশন। এ ক্ষেত্রে আগামী ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে নির্বাচন কমিশন।  ইসি সূত্র জানিয়েছে, তফশিল নিয়ে দুই ধরনের চিন্তায় রেখেছে ইসি। প্রথম তফশিল দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তা আবারও পরিবর্তন করা হতে পারে। এ জন্য ভোটের জন্য তিনটি তারিখ চিন্তায় রেখেছে কমিশন। প্রথমত, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ তথা ২৮ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ; এক্ষেত্রে এই তারিখ আবার পরিবর্তন হতে পারে। দ্বিতীয়ত, জানুয়ারির ৭ অথবা ৮ তারিখ ভোট গ্রহণের চিন্তায় রয়েছে। তৃতীয়ত, ৯ অথবা ১১ জানুয়ারিও ভোট গ্রহণের সম্ভব্য তারিখ রয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে কমিশনের আনুষ্ঠানিক সভার ওপর। কমিশন সভায় নতুন তারিখও নির্ধারণ হতে পারে।

সর্বশেষ খবর