তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেষ সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনার আগ পর্যন্ত গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ব্রিগেড ৭১ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বাসে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ইসরায়েলি বাহিনী যে কায়দায় গাজায় হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়েছে, একই কায়দায় পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ চালানো হয়েছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা (বিএনপি) কী মানুষ? এরা কী রাজনৈতিক কর্মী? এদের নেতারা কী রাজনৈতিক দলের নেতা? এরা জঘন্য সন্ত্রাসী। এটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের ওপর আঘাত। এ ধরনের ‘সন্ত্রাসীদের’ প্রতিহত করতে হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গাড়ি পোড়ানো কি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে? আমরাও বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা রাস্তায় পিকেটিং করতাম। বড়জোর রিকশার টায়ারের পাম্প ছেড়ে দিতাম। তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। এখন কর্মসূচি ঘোষণা করে অনলাইনের মাধ্যমে। সেই কর্মসূচির মূল হচ্ছে অবরোধের নামে গাড়িঘোড়া পোড়ানো। মানুষের ওপর আক্রমণ করা। এরা দেশ-জাতি-সমাজের শত্রু। এ জন্যই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ব্রিগেড ৭১-এর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি (অব.) শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকোট আবদুন নূর দুলাল প্রমুখ।
