মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় ডিবির চার সদস্যের ওই দল কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করে। মিয়া আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের জানান, কখনো জো বাইডেনের সঙ্গে মিয়া আরেফির কথাই হয়নি। লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেফতারের পর তাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেছি, কিছু বিষয়ের উত্তরও পেয়েছি। তবে কিছু বিষয় অস্পষ্ট ও দ্বিমত পোষণ করায় আমরা চিন্তা করলাম, কারাগারে গিয়ে (মিয়া আরেফিকে) জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তিনি ট্র্যাপে (ফাঁদ) পড়েছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতা সারওয়ার্দী তাকে ট্র্যাপে ফেলেছেন। তাকে দেশে এনে বিভিন্ন নেতা-কর্মীর নম্বর দেন। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস ও আবদুল আউয়াল মিন্টুর নম্বর দিয়ে বলেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। নেতাদের কাছে গিয়ে তার প্রশংসা এবং হাইলাইট করার জন্য বলেন। তিনি (মিয়া আরেফি) আবদুল আউয়াল মিন্টুর বাসায় যান। এসব কাজ করতে সহায়তা করেছেন সারওয়ার্দী। তিনি বলেন, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর এগুলো করার উদ্দেশ্য হলো- বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে তিনি ভালো একটি পদ পাবেন। তবে মিয়া আরেফি স্বীকার করেছেন- তিনি বুঝতে পারেননি তার সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে। এখন তিনি অনুতপ্ত। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মিয়া আরেফি। তিনি নিজের পরিচয় দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ হিসেবে। পরে ২৯ অক্টোবর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
