বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্কিল নয়, মানসিকতায় সমস্যা

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হঠাৎ ছন্দ হারিয়ে ফেলেন টাইগার ক্রিকেটাররা। ধর্মশালা, চেন্নাই, মুম্বাই হয়ে কলকাতায় খুঁজে পাওয়া যায়নি তানজিদ তামিম, লিটন দাস, নাজমুল শান্ত, সাকিব আল হাসানদের। যার ফল পেয়েছে হাতেনাতে। আফগানিস্তান ম্যাচ জয়ের পর টানা ৬ ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। টানা হারের ধাক্কা সামলে শ্রীলঙ্কা ম্যাচে জয়ের স্বাদ পায় সাকিব বাহিনী। দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে জয়ের পর ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার আশা জিইয়ে রয়েছে টাইগারদের। এ জন্য ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জিততেই হবে। কিন্তু আঙুল ভেঙে দেশে ফিরে যাওয়ায় খেলতে পারবেন না টাইগার অধিনায়ক। তার পরিবর্তে দেশ থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে এনামুল হক বিজয়কে। ওপেনাররা ব্যর্থ হওয়ায় বিজয়কে আনা হয়েছে। দলের সঙ্গে বিশ্বকাপে আসা নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘টপ অর্ডার থেকে আমরা স্ট্রাগল করছি। সাকিবের রিপ্লেসমেন্ট পাওয়া সম্ভব নয়। তেমনটা হাতে নেই। ব্যাটিংয়ে যদি আমাদের কাউকে দরকার হয়, ব্যাটসম্যান যে কয়েকজন আছেন। একজন ব্যাটসম্যান চলে গেছেন। সেই হিসেবে এনামুলকে রিপ্লেস করা হয়েছে। দেখা যাক সামনের ম্যাচে আমরা কী করি।’ বিশ্বকাপ সুপার লিগে সেরা তৃতীয় দল ছিল বাংলাদেশ। দারুণ ছন্দময় ক্রিকেট খেলছিল টাইগাররা। সেই ছন্দ ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে আসে বিশ্বকাপে। কিন্তু বিশ্বকাপে নিজেদের খুঁজে বেরিয়েছে টাইগাররা। এর মধ্যেই উজ্জ্বল ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। মুশফিক ও লিটন ২টি করে হাফ সেঞ্চুরি, সাকিব, তানজিদ করে হাফ সেঞ্চুরি করেন। গোটা দলের ছন্দ হারানোকে দুর্ভাগ্যজনক বলেন বাশার, ‘সবাই দেখেছি বিশ্বকাপ কেমন কেটেছে আমাদের। নিশ্চিতভাবেই হতাশার। আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। সেটা কোনোভাবেই আমরা পূরণ করতে পারিনি। বিশ্বকাপের আগে আমাদের দলটা যে রকম ফর্মে ছিল, সঙ্গে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আমরা যেরকম ধারাবাহিক। খুব ভালো খেলছিলাম। সে জন্য প্রত্যাশা সবার একটু বেশি ছিল। আমরা প্রত্যাশা মেটাতে পারিনি। অনেক সময় আপনি ফর্মে এসে টুর্নামেন্টে ফর্ম হারিয়ে ফেলতে পারেন। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে আসলে।’ মাসল পুল নিয়েও ২০১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অসি ক্রিকেটারের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ের একটাই কারণ, মানসিক শক্তি। দলের ক্রিকেটারদের এই মানসিক শক্তির অভাব রয়েছে বলেন নির্বাচক, ‘বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে আসার আগে আমাদের মানসিক শক্তি নিয়ে বেশি কাজ করা উচিত বলে মনে করছি। স্কিলের দিক থেকে আমরা আগে যা ছিলাম এখন তাই আছি। বিশ্বকাপে বাকি দলগুলো অনেক প্রস্তুতি নিয়ে আসে। আমরাও অনেক প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলাম। কিন্তু এখানে শক্ত মানসিকতার একটা ব্যাপার থাকে। এরপর এসব টুর্নামেন্টে আসার আগে আমাদের মেন্টাল স্ট্রেন্থ নিয়ে কাজ করতে হবে। আমার মনে হয় স্কিলে কোনো সমস্যা নেই। মানসিকভাবে কীভাবে শক্তিশালী থাকা যায় এটা আমাদের শিখতে হবে।’ ১১ নভেম্বর পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ। টুর্নামেন্টে একমাত্র নেদারল্যান্ডস ছাড়া প্রতিটি দলই ছিল শক্তিশালী। অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তারপরও জয়ের আশা করছেন বাশার, ‘অস্ট্রেলিয়ার কোনো ম্যাচ হারার কথা না। কিন্তু তারাও কিন্তু দুই ম্যাচ হেরেছে। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে নিশ্চিতভাবেই অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারি। অস্ট্রেলিয়া ভালো ফর্মে আছে। তাদের কিছু গেম চেঞ্জার আছে। কোনো দলই আনবিটেবল নয়। নিশ্চিতভাবে আমাদের চেষ্টা থাকবে সেরা খেলাটা খেলার।’

সর্বশেষ খবর