শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় শেখ হাসিনা

বিএনপি নির্বাচনে আসবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিন

রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে অশোভন মন্তব্য নয় - কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া ভাঙা যাবে না কোনো কমিটি

রফিকুল ইসলাম রনি

বিএনপি নির্বাচনে আসবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিন

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যাকে দিয়ে ভোটারের অংশগ্রহণ বাড়াতে পারব, তাকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। সেভাবেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে আসার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। নিজ যোগ্যতায়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে জিতে আসার জন্য তৈরি হতে হবে। গত রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সদস্যসচিব করা হয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে। তবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কে হবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি দলীয় সভানেত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছেন দলের নেতারা। এ ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ের মতো এবারও আওয়ামী লীগের নির্বাচন উপকমিটি গঠন করা হয়েছে ১৪টি। এতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সদস্য। এ ছাড়া সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা এতে যুক্ত হবেন বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ব্রিফিং ও উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে তথ্যগুলো বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানান, সভায় আগামী জাতীয় নির্বাচন, বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনাদের আন্দোলন চলাকালে সহিংসতা, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের তৎপরতা, দলের সাংগঠনিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া কোনো কমিটি ভাঙা যাবে না : বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের একটি বৃহত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের গত ১১ মাসে তিনটি কমিটি অনুমোদন ও বাতিল করার প্রসঙ্গটি দলীয় সভানেত্রীর দৃষ্টিতে আনেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, গত ১১ মাসে একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি তিনবার  অনুমোদন ও বাতিল করা হয়েছে। সম্মেলন ছাড়া কমিটি বাতিল ও ইচ্ছামতো অনুমোদন এ নিয়ে এলাকায় চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশনা ছাড়া কমিটি বাতিল করা যাবে না। সংগঠন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলবে। কারও ইচ্ছায় নয়। এটাই আমার নির্দেশ।’ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাজাহান খান, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, গোলাম কবির রাব্বানী চিনু, ড. মুশফিকুর রহমান, সফুরা বেগম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

যে আলোচনা হলো সভায় : সভায় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বিএনপি নির্বাচনে আসবে না বলে মন্তব্য করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে। মনোনয়ন বাণিজ্য করে তারেক রহমান টাকা কামানোর সুযোগ নষ্ট করবে না। তারা নির্বাচনে এসে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করবে। লক্ষ্মীপুরে যেমন ব্যালটে সিল মারার একটা ছবি তুলে প্রচার হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে এসে এরকম নানা ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা বড় করে দেখিয়ে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবে। ফলে তারা নির্বাচনে আসবে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

দলীয় একাধিক সূত্রমতে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। যারা ভোট টানতে পারবে এমন নেতাদের দলের মনোনয়ন দেব। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়ে আসার মনোভাব পরিহার করতে হবে। যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা দিয়েই বিজয়ী হতে হবে। সভায় বিএনপির আন্দোলনে সহিংসতার প্রসঙ্গ তোলেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সফুরা বেগম। তিনি নিজ এলাকা লালমনিরহাটে বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের নানা তথ্য তুলে ধরেন। বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে ধরে সফুরা বেগম বলেন, দুলু আবার সেই চার দলের আমলের মতো সন্ত্রাস শুরু করেছে। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিষয়টি আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। দুলুর বিরুদ্ধে তো হত্যা মামলা আছে। সে সন্ত্রাস করে কীভাবে? তোমরা একটু সজাগ থাকো। হত্যা মামলার আসামি ঘুরে বেড়ায় কীভাবে? যেসব এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাস করবে, নাশকতা করবে, গাড়িতে আগুন দেবে সেই এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িগুলো চিহ্নিত করে রাখবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।’

জাতীয় পার্টি এককভাবে ভোট করতে পারে : সফুরা বেগম আরও বলেন, লালমনিরহাট সদরে আমাদের দলের নিজস্ব প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এখানকার এমপি। তারা আমাদের দলের ভোট নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়। কিন্তু আমাদের দেখে না। এখানে সামনে দলীয় প্রার্থী দেবেন নেত্রী। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জি এম কাদের আমাকে জানিয়েছেন তারা এককভাবে ভোট করতে চান। আমিও বলেছি এককভাবেই ভোট করেন। কাজেই তারা এককভাবে ভোট করলে এবার আমি নৌকার প্রার্থী দেব সেখানে। এ ছাড়া বেশি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক, জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। আমি চাই নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হোক। দলের নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি আরও বেশি ঝামেলা করার চেষ্টা করবে। নির্বাচনের পরও তারা এগুলো অব্যাহত রাখবে। ফলে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তাদের মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিতে হবে। সভায় দলের নেতাদের বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে অশোভন কোনো মন্তব্য না করতে নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সম্প্রতি চট্টগ্রামের এক নেতা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সে বিষয়টি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। দলের মনোনয়নপত্র বিতরণের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রতি বিভাগের জন্য একটি করে বুথ স্থাপন হবে। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য দুটি করে বুথ থাকবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, কেমন করে আন্দোলন করতে হয়, আবার কেমন করে আন্দোলন থামাতে হয় সেটা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ভালো করেই জানে। কাজেই আন্দোলন নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, বাস পোড়ানোর বিরুদ্ধে আমাদের লোকজন প্রতিবাদ সমাবেশ করছে। এ সময় তিনি গার্মেন্টে আন্দোলন নিয়েও কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, বসো, এগুলো নিয়ে তোমার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলব। পাশ থেকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক নেতা বলেন, নেত্রী, বাসের মালিক কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের লোকই বেশি। তাদের অবরোধে যেসব বাস পুড়ছে, সেগুলো অধিকাংশই রাস্তার পাশে দাঁড়ানো থাকে, আবার পুরনো ভাঙা গাড়ি। আমার মনে হয় তারা পরিকল্পিতভাবে ইনস্যুরেন্সের টাকা ও আপনার কাছ থেকে অনুদান নিতে তাদের লোক দিয়েই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। ভালো কথা বলেছ। বিষয়টি আমলে নিলাম। কার গাড়ি, কে পোড়াল এসব খোঁজ নিতে হবে। নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হলে তো অনুদান দিতে পারব না। যা দেওয়ার এখনই দিতে পারব। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম কবির রাব্বানী চিনু বলেন, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় কিছু কিছু জায়গায় এমপিরা নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। তাদের বলয় ভেঙে প্রবেশ করা কঠিন। এসব এমপি এতই অজনপ্রিয় হয়ে পড়েছেন যে, তাদের এবার নৌকা দিলে বিজয়ী করা সম্ভব হবে না। নেত্রী আপনি নিজেই ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে নৌকা দেবেন। এ সময় চিনুকে থামিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমার কথা আংশিক সত্য, আংশিক সঠিক নয়। তবে বিষয়টি আমলে নিয়েই প্রার্থী দেব।  কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন ভোটের আগে নারী নেত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করার নির্দেশনা দিতে দলীয় প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর আগে সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পরপর তিনবার ক্ষমতায়। সাধারণত ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যায় অথবা জনপ্রিয়তা কমে। আওয়ামী লীগের কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০ শতাংশ মানুষ আমাদের ওপর নির্ভরতা (আস্থা) রাখে। তারা মনে করে আওয়ামী লীগ থাকলে আমাদের কল্যাণ হবে, মঙ্গল হবে। কারণ একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রকৃত রাজনৈতিক দল, বাকিরা হত্যা ও ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু বুঝে না। 

দেশব্যাপী চলমান গ্রেফতার অভিযান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) আমরা গ্রেফতার করব না তো কী করব। আবার অনেকে বলে তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ওই সব দেশে যদি করত তাহলে তারা কী করত? তাদের দেশে কী করছে সেটা আমরা জানি, দেখছি। পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেটা বাড়ানো হয়েছে তা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। তারা কাজ করুক। যখনই সময় আসে তাদের সব রকম সুবিধা আমরা করে দিই। কিন্তু তারা যদি সেটা না করে, কারও প্ররোচনায় রাস্তায় নেমে... এরাই তো যারা উসকানি দিচ্ছে, তারাই তাদের (শ্রমিক) লাশ ফেলবে। এরাই এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যাতে তারা চাকরি হারাবে, কাজ হারাবে, গ্রামে গিয়ে পড়ে থাকতে হবে। এখন তারা কী চায়? কারখানা ধ্বংস হয়ে গেলে, উৎপাদন ব্যাহত হয়, রপ্তানি ব্যাহত হয় তাহলে তাদের কাজ থাকবে কোথায়? এটা তো তাদের বুঝতে হবে। আর উসকানিদাতা কারা?

 

সভা শেষে গণভবনের গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ভন্ডুল করার যে চক্রান্ত এখন চলছে এটা আমাদের যে কোনো মূল্যে প্রতিরোধ করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে এবং এদের পরাজিত করতে হবে। এটা একটা নির্দেশনা আছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সভানেত্রী একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন আজকে যে- বিএনপির নেতৃত্বে যে অগ্নিসংযোগ, অগ্নিসন্ত্রাস, বাস পরিবহনে আগুন এসব নাশকতা চলছে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায়। প্রায় প্রতিদিনই বাস পোড়াচ্ছে। এসব নাশকতার জবাবে আমাদের নেতা-কর্মীরা সারা বাংলাদেশে সতর্ক পাহারায় রয়েছে। তাদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আমাদের যে আটটি বিভাগীয় কমিটি আছে তারা আরও সক্রিয় হয়ে প্রত্যেক বিভাগে, জেলায় গিয়ে এই সতর্ক পাহারার বিষয়টা আরও জোরদার করবে। আমাদের জেলা সংগঠন, থানা সংগঠন, উপজেলা, ইউনিয়ন, মানে আমাদের তৃণমূলকে আরও সুসংগঠিত করবে। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই আমরা ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয় দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করব। এবার আমাদের মনোনয়ন ফরম যারা সংগ্রহ করবেন আগে ৩০ হাজার টাকা ছিল এবার তাদের ৫০ হাজার দিতে হবে। দলীয় মনোনয়ন কেউ চাইলে অনলাইনেও সংগ্রহ ও জমা করতে পারবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে শিষ্টাচারবহির্ভূত অশোভন আক্রমণাত্মক যে বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের দৃষ্টিগোচরে এসেছে। এ জন্য চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চম্বল ইউনিয়নের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমরা শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ব্যবস্থা নেব। এ ধরনের শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করা মোটেও উচিত নয়। এ ব্যাপারে আমাদের নেত্রী সবাইকে সতর্ক করে দিতে বলেছেন।

সর্বশেষ খবর