রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কক্সবাজারে বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কাজ শেষ করতে নৌকায় ভোট দিন

♦ আওয়ামী লীগ কল্যাণ করে, অন্যরা ধ্বংস ♦ ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ তুলে দিতে রাজি নই ♦ শিগগিরই কমবে মূল্যস্ফীতি

রফিকুল ইসলাম রনি, কক্সবাজার থেকে

কাজ শেষ করতে নৌকায় ভোট দিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল কক্সবাজারে বিশাল জনসভায় বক্তব্য দেন -পিআইডি

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সরকারের যে কাজগুলো বাকি আছে, সেগুলো শেষ করতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিন।

গতকাল বিকালে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রসংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ায় স্বাধীনতা এসেছে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। এ সময় নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার ওয়াদা চাইলে লাখো মানুষ দুই হাত তুলে সম্মতি দিয়ে স্লোগান দেয়, ‘বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার’। একই সঙ্গে ‘নৌকা নৌকা’ বলে বিশাল জনসমুদ্র থেকে ভেসে আসা স্লোগানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও স্লোগান ধরেন- ‘নৌকা, নৌকা, আবার জিতবে নৌকা’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে আর বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করে। কাজেই ওদের থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশের উন্নতি করতে, অন্য কেউ নয়। কারণ তাদের (বিএনপি-জামায়াত) কোনো দেশপ্রেম বা মানুষের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ নেই। কোনো মানুষের মধ্যে যদি ন্যূনতম মনুষ্যত্ববোধ থাকে তাহলে জীবন্ত মানুষ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারতে পারে না। মানুষ পুড়িয়ে মারা, সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করা এটাই তাদের কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেত জনতাকে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামীতে নির্বাচন। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন যেন আপনাদের সেবা করতে পারি। আর যে কাজগুলো এখনো বাকি, সে কাজগুলো যেন এসে করতে পারি। তার জন্য আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। এর আগে সভামঞ্চ থেকে একটু দূরে থাকা স্থানীয় এমপি আশেক উল্লাহ রফিককে কাছে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তুমি কোথায় যাও। দাঁড়াও আমার পাশে। উপস্থিত জনতা তখন করতালি দেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের এমপি রফিক। ওর বাবা যখন মারা যায়, আমি এসেছিলাম। ও খুব ছোট ছিল। আপনারা ভোট দিয়ে ওকে এমপি বানিয়েছেন। আপনাদের হাতে ওকে তুলে দিয়ে গেলাম। এ সময় বিশাল জনসমুদ্র থেকে ভেসে আসা নৌকার স্লোগানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও পাল্টা স্লোগান ধরেন- ‘নৌকা, নৌকা, আবার জিতবে নৌকা’। এ সময় রফিককে চোখ মুছতে দেখা যায়। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই এ দেশ আরও সুন্দর হোক, আরও উন্নত হোক। একটা কথা মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, মানুষের জন্য আমরা কাজ করি। আর অন্য একটি দল (বিএনপি) আছে এরা মানুষের সম্পদ লুটে খায়, এরা খুন-হত্যা, বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা, চোরাকারবারি, অস্ত্র চোরাকারবারি এগুলোই জানে। মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করতে পারে না, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ এক নয়। যে পরিবর্তন আমরা করেছি, যার বয়স আজ ১৫ বছর সে মনে করবে এটা তো সেরকমই ছিল। কিন্তু তা না, এমনকি ২০ বছরের ২৫ বছরের যে ছেলে সে একবার চিন্তা করে দেখুক বাংলাদেশ এখন বদলে গেছে। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা-মা, তিন ভাইসহ সব হারানোর বেদনায় কাতর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা দুই বোন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। কিন্তু জিয়াউর রহমান আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। সব বাধা উপেক্ষা করে যেদিন আমি বাংলাদেশে ফিরে এসেছি, সেদিন আমার কেউ ছিল না। যাদের রেখে গিয়েছিলাম, এসে পেয়েছি সারি সারি কবর। আপনাদের মাঝেই আমি ফিরে পেয়েছি আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ। দেশের মানুষই আমার পরিবার। কাজেই আপনাদের কল্যাণের জন্য, আপনাদের উন্নয়নের জন্য আমি যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও প্রস্তুত আছি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন। তাঁর আদর্শ বুকে নিয়ে ও পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেছি। সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকেই জয়ী করতে হবে। কেননা একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে, অন্য কেউ পারবে না। শিগগিরই মূল্যস্ফীতি কমে আসবে এমন আশ্বাস দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, দুঃখের বিষয় হলো, যখন দেশকে সব দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখন বাধল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন, যার কারণে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু সেটাও নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই এ মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে। দ্রব্যমূল্য বাড়ায় সাধারণ মানুষের কল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যখন পণ্যমূল্য বেড়ে গেছে, আমরা উপকরণভোগী কার্ড দিচ্ছি। ভিজিএফ, ভিজিডির মাধ্যমে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছি। যখন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে, আমাদের জেলেদের কার্ড দিয়েছি এবং আমরা তাদের খাদ্য সহযোগিতা দিয়ে থাকি এবং বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকি। যাতে মানুষ কষ্ট না পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করি। কক্সবাজারবাসীদের উদ্দেশ করে প্রধনমন্ত্রী বলেন, আপনাদের বেঁচে থাকতে হয় সমুদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করে। কাজেই আপনাদের জীবনমান যাতে উন্নত হয়, নিরাপদ হয় তার ব্যবস্থাটাই আমরা করে দিচ্ছি। আমাদের বিশেষ করে এ দ্বীপ অঞ্চলগুলো, একসময় তো অনেকে ভেবেছিল এখানে আর কিছুই হবে না। কিন্তু আজকে আর সেই অন্ধকার দ্বীপ না। আলোকিত দ্বীপ, আলোকিত মহেশখালী, আলোকিত কুতুবদিয়া, আলোকিত এই মাতারবাড়ী-বদরখালী সব। দেশের প্রতিটি ঘরে আমরা আলো জ্বালিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ চেয়েছেন। আমি তাঁর কন্যা, আমার একটাই দায়িত্ব- বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে, রোগের চিকিৎসা পাবে, প্রতিটি ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া শিখবে, মানুষের মতো মানুষ হবে, বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ হবে। বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।

ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ তুলে দিতে রাজি নই : এর আগে দুপুরে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি (শেখ হাসিনা) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে পারি না। আমি দিইনি। তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্রভাবে পরাজিত করে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা, খুন, গুম, দুর্নীতি, লুটপাট শুরু করে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ-বাংলা ভাইদের উত্থান হয়। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে পরিচিত হয় সন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে। খাদ্য, বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে দেশের মানুষের জীবনমানে ধস নামায়। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আমরা কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করি। আওয়ামী লীগ যে কর্মপরিকল্পনা করেছিল সেই গবেষণার ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে বদলে গেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসা মাত্রই আমরা অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিই। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াই, বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার বাড়াই, দেশের এ রেলপথ থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ, স্কুল, মসজিদ সবকিছুর উন্নয়ন করেছি। যমুনা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ, তার সঙ্গে রেলসংযোগ, গ্যাস পাইপলাইন, বিদ্যুৎ সংযোগ করে যমুনা সেতু নির্মাণ করে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আমাদের সংযুক্ত হয়। তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন যারা দেখে না, তাদের মনটাই অন্ধ। চোখের অন্ধত্বের চিকিৎসা করা যায়, কিন্তু মনের অন্ধত্ব তো দূর করা যায় না। আগুন দিয়ে যারা মানুষ পোড়ায় তাদের শুধু চোখ না মনই অন্ধকার। বাংলাদেশের রেল অবহেলিত ছিল উল্লেখ করে সরকারপ্রধান আরও বলেন, যারা পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করেছিল তাদের উপদেশ ছিল বাংলাদেশে রেল চলবে না। এ দেশে রেল লাভজনক হবে না। রেলে সব সময় সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াত করে, পণ্য আনা-নেওয়া হয়। সব সময় লাভ-লোকসানের হিসাব করা যায় না। মানুষের সেবাটাই আমাদের কাছে বড়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ৮৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করেছে। ২৮০ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার লাইন আমরা সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করেছি। ১ হাজার রেলসেতু নির্মাণ এবং ৭৬৯টি রেলসেতু পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ১৪৬টি স্টেশন পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ২৩৭টি রেলভবন পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়ক উন্নতি করে ছয় লেন করা হয়েছে। ১০ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক আমরা প্রশস্ত করেছি। ১১১টি রেলের জন্য লকোমোটিভ, ৬৫৮টি যাত্রীবাহী বগি, ৫১৬টি মালবাহী বগি, ৫০টি লাগেজ ভ্যান বাংলাদেশ রেলওয়ে যুক্ত হয়েছে। রেলে খাদ্য, খাদ্যপণ্য, শাকসবজি আনা-নেওয়া করলে যেন নষ্ট না হয় এজন্য কুলিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৪৩টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে, ১৩৪টি স্টেশনে সিগন্যাল নিয়ম আধুনিকায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছি। বড় বড় বাজেট দিয়ে সক্ষমতার প্রদর্শন করেছি এবং বাস্তবায়নও করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, আঞ্চলিক যোগাযোগ সম্পূর্ণ করার জন্য অনেক মেগা প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করেছি। ঢাকা থেকে পর্যটননগরী কক্সবাজার রেলে আসার জন্য মানুষের আকাক্সক্ষাা ছিল। সেটা আমরা করে দিয়েছি। পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন করে রেলসংযোগ করা হবে। রাজশাহী, খুলনা বিভাগ এবং কোনো বিভাগ যেন বাদ না পড়ে এজন্য। সুন্দরবনের সঙ্গে কক্সবাজারের রেলসংযোগ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা পদ্মাপারের মানুষ সব সময় অবহেলিত ছিলাম। তাই পদ্মা সেতু করে দিয়েছি। রেললাইন করে দেওয়ায় এখন তারাও কক্সবাজার আসতে পারবে।

উৎসবের আমেজে বর্ণিল কক্সবাজার : প্রায় ১৯ বছর পর মহেশখালীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় গোটা কক্সবাজার জেলায়। সকাল থেকেই কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়া থেকে দলের নেতা-কর্মীরা রংবেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে, রঙিন গেঞ্জি ও টুপি পরে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেয় জনসভাস্থলে। প্রধানমন্ত্রী ৩টা ৪৮ মিনিটে পৌঁছার আগেই সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে জনসভাটি রীতিমতো জনসমুদ্রে রূপ নেয়। মাঠে সংকুলান না হওয়ায় দীর্ঘ পথের নানা জায়গায় হাজার হাজার মানুষকে দাঁড়িয়ে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে দেখা যায়। মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আনোয়ার পাশা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফের সঞ্চালনায় জনসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুর মোস্তফা চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, আশেক উল্লাহ আশেক এমপি, জাফর আলম এমপি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ কেন্দ্রীয়, কক্সবাজার জেলা ও উপজেলার নেতাসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। জনসভায় উপস্থিত হওয়ার আগে সেখানে জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটসহ জেলায় শেষ হওয়া ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় চারটি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর