রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

১৩১ মামলায় গ্রেফতার ১৮৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি-জামায়াতের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও লাগাতার অবরোধে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকা মহানগর পুলিশের হিসাব অনুযায়ী- ২৮ অক্টোবর থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত সহিংসতা, পুলিশ হত্যা, বিস্ফোরক, বাসে আগুন ও নাশকতায় ৮টি বিভাগে ১৩১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গত ১৪ দিনে গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৮১৩ জনকে। এ ছাড়াও সারা দেশে ১৪ দিনে ৩৫০ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এর মধ্যে পুলিশ হত্যা মামলার আসামি ও নাশকতাসহ বিভিন্ন সময় সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও রয়েছেন।  আগামী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের কর্মসূচি ঘিরে গতকাল ঢাকার বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে যানজট দেখা গেছে। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার জানান, গত শুক্রবার বিকাল থেকে গতকাল বেলা ১টা পর্যন্ত সারা দেশে ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৫ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত ২ হাজার নেতা-কর্মী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের দাবি জানান। এ সময়ের মধ্যে তাদের তিনজন নিহত এবং ৪০০ নেতা-কর্মী হামলায় আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়াও পুলিশের গুলিয়ে দুজন কর্মী পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশনস) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশে পুলিশ তৎপর রয়েছে। যে কোনো নাশকতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে অ্যাকশনে যাবে পুলিশ। দেশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারদের সজাগ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গণপরিবহনে নাশকতার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, লাগাতার অবরোধের নামে গুপ্ত হামলা চালিয়ে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ করছে দুষ্কৃতকারীরা। ২৮ অক্টোবর থেকে তৃতীয় দফার অবরোধ পর্যন্ত নাশকতা চালিয়ে ৬৪টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এমনকি অবরোধের ডাক দিয়ে আগের দিন গাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে তারা নিজেদের জানান দিচ্ছে। আমরা কঠোর আছি। জনসাধারণের জানমাল রক্ষায় প্রয়োজনে ডিএমপি আরও কঠোর হয়ে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ প্রতিহত করবে। এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই নাশকতার সঙ্গে জড়িত, আর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা পরিকল্পনাকারী। আগুন দেওয়ার সময় আশপাশের লোকজন ও পুলিশ হাতেনাতে ১২ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে কারা এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত শুক্রবার ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১৪ দিনে পুলিশ হত্যা মামলার আসামিসহ সাড়ে ৩০০ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার অবরোধে নাশকতা প্রতিহত করতে ৪ শতাধিক র‌্যাবের টহল টিম দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও র‌্যাবের পক্ষ থেকে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও চট্টগ্রাম থেকে পণ্য পরিবহন ও আমদানি করা সরঞ্জাম স্কর্টের মাধ্যমে যথাস্থানে পৌঁছে দেবে র‌্যাব। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, জানমালের নিরাপত্তায় ও নাশকতার বিরুদ্ধে সারা দেশে পর্যাপ্ত বিজিবি টহল টিম মাঠে কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর