শিরোনাম
সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচনের পক্ষে দেশে গণজোয়ার বইছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। নির্বাচনের পক্ষে সারা দেশে গণজোয়ার বইছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল  কাদের বলেন, আমাদের নির্বাচনি প্রচারণার মূল স্লোগান হবে, ‘নাশকতার কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।’ আমাদেরকে চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে হবে। সারা দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। নির্বাচনের পক্ষে সারা দেশে গণজোয়ার বইছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, টেমস নদীর ওপার থেকে স্কাইপে দেওয়া অবৈধ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশে চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে। এসব নিয়ে হঠাৎ গুহা থেকে বের হয় একজন প্যাথলজিক্যাল লায়ার। বের হয়েই খেয়ালখুশি মতো বলে বসে- সরকার পতন নাকি সময়ের ব্যাপার। এই করতে করতে ২৮ অক্টোবর চলে গেছে। এখন অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের ২৮ অক্টোবরের জন্য। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে যে সরকার আছে, সে সরকারই থেকে যাবে। গতবারও এমনটিই হয়েছে। তবে এখানে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকতে পারবেন না, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা থাকতে পারবেন না। এ পদগুলোতে যারা আছেন, তারা অটোমেটিক বাদ হয়ে যাবেন। জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের নির্বাচন পেছানোর আহ্বানের বিষয়ে তিনি বলেন, রওশন এরশাদকে বলুন নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করতে, এটা আমাদের এখতিয়ারবহির্ভূত। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এমন একটি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন একটি শ্রেণি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ধূম্রজাল তৈরির চেষ্টা করছে। তবে সব ছাপিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং একটি নির্বাচনি আমেজ তৈরি হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের কর্মীদের তিনটি কাজ করতে হবে। প্রথমত, রাজনীতির নামে বিএনপির গাড়ি পোড়ানোর বিষয়টি প্রচার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে বিএনপির নীরবতা তুলে ধরতে হবে। তৃতীয়ত, উন্নয়নের এবং স্মার্ট বাংলাদেশের স্বার্থে নৌকার বিকল্প নেই- এ বিষয়টি জনমানুষের সামনে আনতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর