বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল পেছানোর যে মুলা ঝুলিয়েছে সরকার তার ওপর দেশের জনগণ কীভাবে আস্থা রাখতে পারে? তিনি বলেন, নির্বাচনে যোগ দেওয়ার শর্তে তফসিল পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের আশ্বাসে জনগণ সন্দিহান। গতকাল সন্ধায় গণমাধ্যমে পাঠানো লিখিত এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা-মামলায় কারাগারে থাকা দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি পেছানোর পর দেওয়া এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করলে আদালত আগামীকাল ২২ নভেম্বর জামিন শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন। ড. আবদুল মঈন খান বিবৃতিতে বলেন, আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট।
২৮ অক্টোবর বিরোধী দলের ওপর ক্র্যাকডাউনের পর থেকে সরকার যে মিথ্যা মামলা-হামলা ও অন্যায় গ্রেফতার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করে আমাদের সব নেতা-কর্মীকে মুক্তি দিয়ে সবার আগে সরকার একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করুক। গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা ও ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন। আজকে তিন সপ্তাহের বেশি অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বিএনপি মহাসচিবের বেইল পিটিশনের শুনানি পেছানোর সিদ্ধান্তে সরকার পুনরায় প্রমাণ করেছে এ সরকারের কাছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও রীতিনীতির ন্যূনতম অনুশীলন আশা করা যায় না। এমতাবস্থায় বিরোধী দলকে এ সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে যোগ দেওয়ার শর্তে নির্বাচনি তফসিল পিছিয়ে দেওয়ার মুলা ঝোলানোর আহ্বানের ওপর দেশের মানুষ কীভাবে আস্থা রাখতে পারে, সেটাই আজ দেশবাসীর জিজ্ঞাসা।
-(1.jpg?v=1721674667)
