মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচনের পর ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনের পর ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আর উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিকে চাপে ফেলছে। তবে নির্বাচনের পর নতুন সরকার এলে ঘুরে দাঁড়াবে। নির্বাচনি অনিশ্চয়তা কেটে গেলে বাড়বে প্রবাসী আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বেসরকারি ঋণ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণের ছাড়ও বাড়বে। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।

কয়েক বছরের মধ্যে এবারও কৃষি উৎপাদন ভালো হয়েছে জানিয়ে আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, শিল্প সূচক নিয়ে আমাদের হাতে যে তথ্য রয়েছে, ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমরা মনে করি এ বছর প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ এর ওপরে থাকবে।

গভর্নর বলেন, দুটি বিষয়ে আমরা চাপের মধ্যে আছি, একটি হলো মূল্যস্ফীতি আর আরেকটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকারের বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ফান্ডিং বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের পলিসি রেট বাড়িয়েছি। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী এই মুহূর্তে আমাদের রিজার্ভ আছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার। এদিকে, ইউএস ফেড : বলেছে, তারা ডিসেম্বর পর্যন্ত পলিসি রেট বাড়াবে না। যদি না বাড়ায় তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি যে, ইউএস ফেডের রেট আর বাড়বে না। আমরা ইন্টারেস্ট রেট দিয়ে ডলার আনতে পারব। আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, নির্বাচনের পরে যখন নতুন সরকার গঠন হবে, তখন মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। এখন যারা রপ্তানি করছেন তারা একটু ধীর প্রক্রিয়ায় করছেন। যখন তারা দেখবেন বাজার স্থিতিশীল হয়ে গেছে, তখন তারা আরও দ্রুততার সঙ্গে করবেন। আমি মনে করি বাজার অবমূল্যায়িত হওয়ার আর কোনো কারণ নেই। এদিকে, দেশে আমদানি ব্যয়ের চেয়ে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের যে ব্যবধান; তা কমে এলেও বিদেশি বিনিয়োগ, ঋণ কম ছাড় হওয়ার প্রবণতা কমেনি বলছেন গভর্নর। আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, এখানে যে এক্সচেঞ্জ রেট ডিফারেনশিয়াল আর ইনফ্লেশন রেট ডিফারেনশিয়াল যদি নেগেটিভ হয় তাহলে একটা ক্যাপিটাল ফ্লাইট হয়। আমাদের যেহেতু ইন্টারেস্ট রেট কম ছিল এটা বাড়িয়েছি।

আমাদের টাকা কিছুটা ওভার ভ্যালু ছিল সেটা নমনীয় করে মার্কেট ভ্যালুর সমান করেছি। ব্যাংক খাতে সুশাসনের অভাব। তবে পদক্ষেপগুলো কাজে দিলে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে খেলাপি ঋণ থেকে টাকা পাচার সবকিছুই।

সর্বশেষ খবর