বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ধ্বংসস্তূপ ফিলিস্তিন

গাজায় নিহত ১৩ হাজার ছাড়াল

প্রতিদিন ডেস্ক

গাজায় নিহত ১৩ হাজার ছাড়াল

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩০০-তে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬০০ শিশু। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি দেশটির সেনারা গাজার উত্তরাঞ্চলে স্থল আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। বিবিসি।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, সংঘাত অব্যাহত থাকলেও ইসরায়েল ও হামাস একটি চুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এ আশার বাণী শুনিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই। সোমবার বাইডেন বলেন, উভয় পক্ষ একটি চুক্তির কাছাকাছি আছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জিম্মি নিয়ে সমঝোতার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা আগে যেখানে ছিলাম তার চেয়ে কাছাকাছি আছি।’ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহও। গতকাল রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। হানিয়াহ বলেন, হামাস কর্মকর্তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর কাছাকাছি রয়েছেন। তবে জিম্মি ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে হামাস কী দাবি উত্থাপন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তাদের হাতে ২ শতাধিক জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৫ নভেম্বর প্রথম বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দেয়, গাজায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ৫০ বন্দিকে মুক্তি দিতে চায় হামাস। ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে এ নিয়ে এক চুক্তিতে পৌঁছাতে চান কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা। আলোচনার বিষয়ে অবগত কাতারের এক কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির ওই সময় গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের জরুরি ত্রাণসহায়তা সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির সাধারণ রূপরেখায় রাজি হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল এখনো এ চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছে।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্য জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকদের সঙ্গে দেখা করেছেন জিম্মি হওয়াদের স্বজনরা। তাদের সরকারের তরফে ধারণা দেওয়া হয়েছে, হামাসকে ধ্বংস ও জিম্মিদের মুক্ত করা ইসরায়েলের জন্য ‘সমান গুরুত্বপূর্ণ’। নেতানিয়াহু এক্সে করা একটি পোস্টে বলেন, তিনি ওই বৈঠকে পরিবারগুলোর বেদনা শুনেছেন। তিনি বলেছেন, জিম্মিরা সব সময় আমার হৃদয়ে আছে। তাদের ফিরিয়ে আনা প্রথম অগ্রাধিকার। আমরা আমাদের জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা, হামাসকে ধ্বংস করা এবং গাজার সব হুমকি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ করব না।

এদিকে যখন হামাস-ইসরায়েল একটি চুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছে ইরান। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসির কমান্ডার ইন চিফ মেজর জেনারেল হোসাইন সালামি ঘোষণা দিয়েছেন, ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনি যুবকদের ধ্বংস করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের শক্তি ধ্বংস করার যুদ্ধে রয়েছে। এভাবেই তারা ক্রমান্বয়ে প্রভাব বিস্তার করতে থাকবে।

উল্লেখ্য, গাজায় যুদ্ধ করতে ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। বহু সেনা নিহতের পাশাপাশি কয়েক ডজন সমরযান হারিয়েছে দেশটি। ইরান থেকে পাওয়া অস্ত্র দিয়েই এ প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে হামাস। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরেক ইরানপন্থি সংগঠন ইসলামিক জিহাদও।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর