বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কারা হচ্ছেন নৌকার মাঝি

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই শুরু আজ, দৃষ্টি তেজগাঁও কার্যালয়ে ♦ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ♦ বাদ পড়বেন এলাকাবিচ্ছিন্ন, শারীরিকভাবে অসুস্থ ও বিতর্কিতরা ♦ মনোনয়নে থাকছে চমক

রফিকুল ইসলাম রনি

কারা হচ্ছেন নৌকার মাঝি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম আজ শুরু হচ্ছে। সকাল ১০টায় তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসছে দলীয় সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা। এখানে চূড়ান্ত করা হবে আগামী নির্বাচনে কারা হচ্ছেন নৌকার মাঝি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় বৈঠক শুরু হবে আজ সকাল ১০টায়। এ বৈঠক চলবে তিন দিন। সভার প্রথম দিনে আজ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের আসনগুলোর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। সব প্রার্থী চূড়ান্ত করে রবিবার তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।

ভোটযুদ্ধের ময়দানে নৌকার প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগের বাগানে ফুটে ওঠা ৩ হাজার ৩৬২টি ফুলের মধ্য থেকে দলের সভানেত্রী, মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনা সবচেয়ে সুন্দর ৩০০ ফুল বেছে নেবেন। তাই প্রার্থীদের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর দৃষ্টিও সেদিকেই। সবার আগ্রহ কোন আসনে কে হতে যাচ্ছেন নৌকার মাঝি। নতুন মুখ কারা আসছেন, আর ছিটকে পড়ছেন কারা। কোন

আসন শরিক দলের প্রার্থীরা পাচ্ছেন। এমন অনেক প্রশ্ন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পার করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এসব প্রশ্ন আর গুঞ্জনের অবসান হবে আজ শুরু হওয়া সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায়। তাই দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এখন রাজধানী তথা কেন্দ্রমুখী, ব্যস্ত শেষ সময়ের দৌড়ঝাঁপে।

এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন ৩ হাজার ৩৬২ জন। দেশের আট বিভাগ থেকে ৩০০ আসনেই মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ফরম নিয়েছেন এবং জমা দিয়েছেন। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস যেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তেমন মনোনয়ন হারানোর ভীতিও আছে। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই। রাজনীতিকের পাশাপাশি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মাঝে মনোনয়ন কেনার হিড়িক লক্ষ্য করা গেছে এবার। সর্বশেষ রাজনৈতিক বাস্তবতায় দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে এবার বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকলেও নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এখন চরমে। সবার দৃষ্টি তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই আছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভাগ্য।

আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা দলটির সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হতো। তবে এবার নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম করবেন না বলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা ডেকেছেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক ফোরামের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, এবারের দলীয় মনোনয়নে চমক দেবেন শেখ হাসিনা। সাবেক আমলা থেকে শুরু করে পেশাজীবীদের মধ্য থেকেও মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর বাদ পড়বেন বিতর্কিত, এলাকাবিচ্ছিন্ন, শারীরিকভাবে অক্ষম বা অসুস্থরা।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনেই প্রার্থী রদবদল করা হয়। বয়সের কারণে, জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায়, নতুনদের জায়গা করে দিতে এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করতে এ রদবদল হয়ে থাকে। এবার সংসদ নির্বাচনেও তাই হবে। জরিপ চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থী দেবেন।’ জানা গেছে, দলের বিতর্কিত এমপি ও মন্ত্রী বাদ দিয়ে সে আসনে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরেই এমপি-মন্ত্রীদের সতর্ক করে আসছিলেন। যারা জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছেন, তারা মনোনয়ন পাবেন। যারা এলাকায় যাননি, কর্মীদের জন্য ঢাকার বাসায় কিংবা সংসদ ভবনের অফিসের দরজাও বন্ধ রেখেছিলেন, তাদের এবার বাদ দেওয়া হচ্ছে।

মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা আরও জানান, টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আছে দল। অথচ এ অনুকূল সময় কাজে লাগিয়ে তৃণমূল আগের চেয়ে শক্তিশালী করতে পারেননি অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা। তাদেরও মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এ ছাড়া সরকার দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি করলেও সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে যারা উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই বেছে নেবেন। যারা নানাভাবে বিতর্কিত, এলাকায় নেতা-কর্মীদের সময় দেননি, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নন তারা বাদ পড়বেন। যাকে দিয়ে বিজয়ী হওয়া সম্ভব তাকেই নৌকা দেবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।’

রাজনীতিকের পাশাপাশি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মাঝে মনোনয়ন কেনার হিড়িক লক্ষ্য করা গেছে। সাবেক আমলার মধ্যে জামালপুর-৫ আসন থেকে দলের মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম তাঁকে এরই মধ্যে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব মোহাম্মদ সাদিক, খুলনা-১ আসন থেকে সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়, ভোলা-৪ আসন থেকে সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন, নওগাঁ-৩ আসন থেকে সাবেক সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, চাঁদপুর-১ আসন থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব গোলাম হোসেন, চাঁদপুর-৫ আসন থেকে সাবেক সচিব শাহ কামাল, বরগুনা-১ আসনে সাবেক সচিব মিহিরকান্তি মজুমদার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনী-১ আসনে মনোনয়ন আবেদনপত্র তুলেছেন। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক শরীয়তপুর-১ আসনে, বরিশাল-৫ আসনে মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়া মাহবুব উদ্দিন (এসপি মাহবুব), কিশোরগঞ্জ-২ আসনে সাবেক ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ মনোনয়ন আবেদনপত্র নিয়েছেন। সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে নৌকার মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) সাবেক ডি জি আবুল হোসেন পটুয়াখালী-৩, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নজরুল ইসলাম মানিক। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ফেনী-২ আসন থেকে, সিনিয়র সাংবাদিক নঈম নিজাম কুমিল্লা-১০ আসন থেকে এবং সাংবাদিক সোহেল সানি বরিশাল-২ থেকে, আরিফুর রহমান দোলন ফরিদপুর-১ আসন থেকে, কুষ্টিয়া-১ থেকে সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। এ ছাড়া এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন অ্যাডভোকেট রয়েছেন বলে জানা গেছে। টাঙ্গাইল-৩ আসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, রাজবাড়ী-২ আসনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান, ময়মনসিংহ-৪ ও ৯ আসনে স্বাচিপের সাবেক মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, সিলেট-৩ আসনে বিএমএ মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী।

বিনোদন তারকার মধ্যে নীলফামারী-২ আসনের বর্তমান এমপি অভিনেতা ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মানিকগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, ঝিনাইদহ-১ আসনে চিত্রনায়িকা সিমলা, ফেনী-৩ আসনে অভিনেত্রী শমী কায়সার, বরিশাল-৩ আসনে নায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল, ঢাকা-১০ আসনে অভিনেতা ড্যানি সিডাক, ঢাকা-১৭ ও টাঙ্গাইল-১ আসনে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান, পাবনা-৫ আসনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে, প্রযোজক ও অভিনেতা আরশাদ আদনান রনি, বাগেরহাট-৩ আসনে চিত্রনায়ক শাকিল খান এবার মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল-২ আসন থেকে, সাকিব আল হাসান ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও ২ আসন থেকে, ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় নেত্রকোনা-১ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন।

একই পরিবারের একাধিক সদস্যও ফরম সংগ্রহ করেছেন। ঢাকা-৭ আসন থেকে মনোনয়ন আবেদনপত্র কিনেছেন হাজি মো. সেলিম ও তাঁর দুই ছেলে সোলায়মান সেলিম ও ইরফান সেলিম, গাজীপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা রহমত আলীর মেয়ে রুমানা আলী টুসি ও ছেলে জামিল হাসান দুর্জয়, পাবনা-৪ আসন থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর বড়মেয়ে মাহজেবিন শিরিন পিয়া, দুই ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফ, সাকিবুর রহমান শরীফ, জামাতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টু মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে সাতবারের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম, তাঁর ছেলে অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন, ভাই মোহাম্মদ আলী, ভাতিজা আলী আসলাম জুয়েল একই আসন থেকে মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। পিরোজপুর-১ আসনে চার ভাইয়ের নৌকা নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছে। নৌকা পেতে তাঁরা দলের মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা হলেন সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল, অন্য তিন ভাই হাবিবুর রহমান মালেক, মজিবুর রহমান, মশিউর রহমান মহারাজ। কুমিল্লা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান এমপি সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও তার ছেলে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী সুমন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন চান এক দম্পতি। তাঁরা হলেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. নাজির মিয়া এবং তাঁর স্ত্রী নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার। ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিনের পাশাপাশি মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন তাঁর ছেলে ইমদাদুল হক সেলিম ও মেয়ে সেলিমা বেগম। রাজবাড়ী-১ আসনে ভাইয়ের মুখোমুখি ভাই। তাঁরা হলেন বর্তমান এমপি কাজী কেরামত আলী ও তাঁর ছোট ভাই রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী। কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে নৌকা পেতে চান তিন ভাই। তাঁরা হলেন প্রয়াত এমপি আফাজ উদ্দীন আহমেদের তিন ছেলে নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস, আরিফ আহমেদ বিশ্বাস ও অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর। এর দুই সপ্তাহ পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর