বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইসরায়েল-হামাস অবশেষে সম্মত যুদ্ধবিরতিতে

প্রতিদিন ডেস্ক

ইসরায়েল-হামাস অবশেষে সম্মত যুদ্ধবিরতিতে

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ভবন -এএফপি

প্রায় দেড় মাস টানা যুদ্ধের পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতিতে সমঝোতায় পৌঁছেছে। গতকাল ইসরায়েলি সংসদে অনুমোদন হওয়া এ সমঝোতা অনুযায়ী, ইসরায়েল তাদের হাতে বন্দি দেড় শ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে এবং হামাসের হাতে বন্দি ৫০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রথম দফার এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে চার দিন। রয়টার্স, আলজাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছেন ২৪০ জন ইসরায়েলি। তাদের মধ্যে থেকে ৫০ জন নারী ও শিশুকে মার্কিন সমর্থন এবং কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হবে। জনৈক মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, যে ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের মধ্যে চার বছর বয়সী এক শিশুসহ তিনজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। এদিকে হামাস বলছে, কারাবন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তাদের সবাই নারী ও শিশু। সেই সঙ্গে ত্রাণ ও অনুদান যেন গাজায় ঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে, সেজন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে। খবরে বলা হয়, এই চার দিন দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা বন্ধ থাকবে এবং উত্তরে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হামলা বন্ধ থাকবে। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইসরায়েলি সামরিক যান গাজায় প্রবেশ করবে না এবং ইসরায়েলি সেনারা গাজার কোনো বেসামরিক নাগরিককে গ্রেফতার করতে পারবে না। এদিকে ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, প্রতি ১০ জন অতিরিক্ত জিম্মি মুক্তির জন্য যুদ্ধবিরতি এক দিন করে বাড়ানো হবে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত গাজায় ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। এ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছেন।

আবার কি যুদ্ধ শুরু হবে : বিশ্লেষকরা বলছেন, হামাস চায় আরও কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে যুদ্ধবিরতির সময় বাড়াতে। তবে ইসরায়েল হামাসকে যে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেই ধারায় টিকে থাকতে তারা যুদ্ধে ফিরে আসতে চাইবে। ইসরায়েলের যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে আসার আরও বড় উদ্দেশ্য রয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এখনো গাজার উত্তরাঞ্চল পুরোপুরি দখল করেনি। যদিও গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনারা জাবালিয়া ঘিরে ফেলেছিল, যাকে হামাসের শক্ত ঘাঁটি বলে বিবেচনা করা হয়। এর পাশেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল, যা উত্তরে একমাত্র বড় চিকিৎসা কেন্দ্র। ইসরায়েলি কমান্ডাররাও গাজার দক্ষিণে এবং বিশেষ করে খান ইউনিস শহরে অস্ত্র তাক করে আছে। তাদের বিশ্বাস হামাসের হাতে জিম্মিরা সেখানে থাকতে পারেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা গাজার দক্ষিণে স্থল আক্রমণ সমর্থন করবে না, যদি না বেসামরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধ পুনরায় শুরু হবে, আমরা থেমে থাকব না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর