বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ওবায়দুল কাদের

নির্বাচন ইসির বিষয়, পেছালে আপত্তি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সময়সীমা ঠিক রেখে তফসিল সমন্বয় করে নির্বাচন পেছানো নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিষয়। আওয়ামী লীগ বা সরকারের এখানে কিছু বলার নেই। গতকাল তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে গণতন্ত্রের দিক থেকে পারফেক্ট কোনো দেশ আছে কি না এমন প্রশ্ন কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদের আমরা করেছি। এ মিশনে ১২টি দেশের প্রতিনিধি রয়েছেন, আলোচনায় মনে হয়েছে তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে। এত অপপ্রচারের পরেও নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য কমনওয়েলথ প্রতিনিধিরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, এটি ইতিবাচক দিক। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। বিএনপি না এলেও আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আসবে না বলেই নির্বাচন একতরফা হবে এটি ঠিক নয়। অনেকগুলো দল শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। তারাও গণতন্ত্রের অংশ। নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ। একটিমাত্র দলকে ঘিরে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি হবে না সেই সিদ্ধান্ত হতে পারে না। একতরফা নির্বাচন হলে বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে পারে- সাম্প্রতিককালের এমন আলোচনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ মুহূর্তে এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের অতটা মাথাব্যথা নেই। নির্বাচন হচ্ছে আমাদের দেশে। বাইরের কে নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটা নিয়ে আমরা কেন মাথা ঘামাব? কারও ইচ্ছায় তো আমরা নির্বাচন করব না। আমাদের ইচ্ছায় আমরা নির্বাচন করব। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করব। অন্য কারও নির্দেশে নয়, অন্য কারও নিষেধাজ্ঞায় নয়। দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব একটা সেল আছে। ওই সেলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও রিপোর্ট আসে। সবগুলো মিলিয়ে যার নম্বর বেশি তাকেই দলীয় মনোনয়নের জন্য চূড়ান্তভাবে বিবেচনা করা হবে। সবকিছু বিবেচনা করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান এমপি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক উপকমিটির চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন, উপকমিটির সদস্য সচিব এবং দলের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মোহাম্মদ সাদিক প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর