জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কৌশল থাকে। আমরা নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগোচ্ছি। যারা দীর্ঘদিন দলের জন্য অবদান রেখেছেন, এলাকায় জনপ্রিয়, দেশ ও মানুষের প্রতি দরদ আছে তা বিবেচনা করেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করব।
গতকাল জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
জাপা মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব। বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। রবিবার ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। আশা করছি, ২৭ নভেম্বর আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারব। আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষ হয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে যারা ফরম তুলতে পারেননি, তারা পার্টি চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে মনোনয়ন ফরম তুলতে পারছেন। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলেন। তিনি তার (বেগম রওশন এরশাদ) পুত্র সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলাম এর জন্য তিনটি মনোনয়ন ফরম চেয়েছেন। বেগম রওশন এরশাদ বললে আমরা তার মনোনয়ন ফরম পাঠিয়ে দেব। প্রয়োজন হলে আমি নিজে গিয়ে পৌঁছে দেব।পার্টির চেয়ারম্যান ও মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি জি এম কাদের এমপির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (মেয়র), প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও সৈয়দ দিদার বখত।
-(1.jpg?v=1721745791)
