মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এ্যানীসহ বিএনপির ২৮ নেতা-কর্মীর বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঁচ বছর আগে রাজধানীর পল্টন থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ দলটির ২৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। গতকাল দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৬ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বিএনপি নেতা শাহ আলম, হারুন উর রশীদ, হাবিবুর প্রমুখ। এদিন কারাগারে থাকা বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, খায়রুল কবীর খোকনসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। জামিনে থাকা আসামিরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পল্টন থানা এলাকায় বেআইনি সমাবেশ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে।

বিএনপির ১৬ নেতা-কর্মীর জেল : পাঁচ বছর আগে রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় পুলিশকে উদ্দেশ করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং হামলার মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতা-কর্মীর আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত পৃথক দুই ধারায় তাদের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া প্রত্যেক আসামির ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সরকার রফিকুল ইসলাম মুকুল, আহসান হাবীব মোল্লা, রুস্তম আলী, শরীফুল আলম ওরফে সবুজ আলম, রায়হানুল বাসেদ ওরফে আবদুল হাই, ইসতিয়াকুল বাছেদ, আনোয়ার হোসেন সরকার, আরিফ উদ্দিন এনামুল, মো. রুহুল আমিন, মজিবুর রহমান, মো. মোস্তফা, নাসিমুল ইসলাম নাসিম, শামীম, আসাদুল ইসলাম, সাব্বির সরকার, ইসমাইল হোসেন। এ ছাড়া জাকির নামে একজনকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরখান থানার স্নানঘাট তেরমুখ ঘাট ব্রিজের পাশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জমায়েত হয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছিল। এ সময় খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ হাজির হলে তাদের উদ্দেশ্যে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ সময় উত্তরখান পুলিশের দুই সদস্য আহত হন। এ ঘটনার পরদিন উত্তরখান থানায় উপপরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ান বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার বিচার চলাকালে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

সর্বশেষ খবর