বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সহায়তায় এগিয়ে আসুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সহায়তায় এগিয়ে আসুন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আন্তর্জাতিকভাবে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সদর দফতরে জলবায়ুবিষয়ক এক সম্মেলনে ভিডিওবার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। ‘মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব : সমাধানের জন্য বৈশ্বিক আহ্বান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে ২১৬ মিলিয়ন লোক বাস্তুচ্যুত হতে পারে। এর মধ্যে ৪০ মিলিয়ন এককভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় থাকবে। বাংলাদেশে আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, ঘন ঘন বন্যা এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ঘটায়। এ ধরনের ঘটনাগুলো আমরা যেমনটা ভেবে থাকি তার চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে ঘটছে।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ুর কারণে সৃষ্ট বেশির ভাগ বাস্তুচ্যুতি জাতীয় সীমানার মধ্যে ঘটে। কিছু কিছু ভয়ানক দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি কয়েকটি দেশকে বিপর্যস্ত করে। এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে মানবিক সংকটে পরিণত না হয় সেজন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সংহতি প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা বাস্তুচ্যুত বা আটকে পড়েছে তাদের মৌলিক পরিষেবা, সামাজিক সুরক্ষা এবং জীবিকার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা থাকা উচিত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের জীবনযাপনে যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে : প্রথমত, আমাদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, জলবায়ু অভিবাসীদের অভিঘাত এবং ক্ষতির প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে বের করার জন্য ‘ক্লাইমেট জাস্টিজ লেন্সের’ মাধ্যমে আমাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করা উচিত। তৃতীয়ত, অভিবাসনকে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল হিসেবে দেখার জন্য আমাদের স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রস্তুত হতে হবে, যেখানে এটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে প্রমাণিত হয়। চতুর্থত, জলবায়ু অভিবাসী বিশেষ করে নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য, তাদের পুর্নবাসনের জন্য আমাদের বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মানগুলো পর্যালোচনা করতে হবে।

পঞ্চমত, সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে একটি গঠনমূলক অবস্থান তৈরি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে গবেষণা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর