বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
অর্থ পাচার মামলা

সেই এনু-রুপনের সাত বছর জেল

আদালত প্রতিবেদক

অর্থ পাচার মামলায় ঢাকার গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াকে সাত বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদন্ডের পাশাপাশি জব্দ করা সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ও ৫২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা  অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, মো. মেরাজুল হক শিপলু ও ভুলুচন্দ্র দেব। তাদের মধ্যে মেরাজুল হক শিপলু ও ভুলুচন্দ্র দেব পলাতক। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘এ দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করে। তবে এদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। আর যারা মানি লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তারা শুধু আমাদের সম্পদ চুরি করছে না, তারা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ চুরি করছে। তারা আমাদের স্বপ্ন চুরি করছে। তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা আমাদের কর্তব্য।’ মামলাসূত্রে জানা গেছে, ঢাকার ক্রীড়া ক্লাবগুলোয় ক্যাসিনো বন্ধে অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতা এনু ও রুপন, তাদের এক কর্মচারী এবং এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব।

সে অভিযানে সিন্দুক ভর্তি নগদ প্রায় ৫ কোটি টাকা, ৮ কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যেগুলো জুয়ার টাকায় গড়া সম্পদ বলে ওই সময় র‌্যাব জানিয়েছিল। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানান, এ ঘটনায় এনামুল ও রুপনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। অভিযানের মধ্যে এনু ও রুপন পলাতক থাকায় পরে তাদের ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই বছর ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে সিআইডি। এ মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হলেও অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি পান তিনজন। ফলে আট আসামির বিরুদ্ধে বিচার চলে। এ মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার এনু গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গ্রেফতারের পর দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। এর আগে গত বছরের ২২ এপ্রিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় এনামুল ও রুপনকে সাত বছর করে কারাদন্ড দেন আদালত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর