শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
এক-চতুর্থাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী

আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের লড়াই দলের স্বতন্ত্রদের সঙ্গে

♦ নৌকা নিয়ে লড়ছেন কেন্দ্রীয় ৩৪ নেতা ♦ বর্তমান ২৩ এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৯৮ আসনে ২৯৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলার শীর্ষ নেতা, বর্তমান ও সাবেক এমপিরাও নৌকার বিরুদ্ধে লড়তে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২৯৮ আসনে নৌকার বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান আওয়ামী লীগেরই সাড়ে ৪০০ নেতা-নেত্রী। এর মধ্যে নৌকা পাওয়া কেন্দ্রীয় ৩৪ নেতার বিরুদ্ধেও অনেক আসনে প্রার্থী মাঠে আছেন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে ২৩ জন বর্তমান এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকাকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন। এর মধ্যে প্রতিমন্ত্রী, হুইপ রয়েছেন। সব মিলে এবার নৌকা বনাম আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই বেশ জমে উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার শেষ দিনে সারা দেশের ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৯৬৪ জন, বাকি ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এবার নিবন্ধিত ২৯ রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নিচ্ছে। তবে বিএনপিসহ ১৫ দল এবারের ভোটে নেই। গতকাল থেকে বাছাই পর্ব শুরু হয়েছে। চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল চলবে ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর। সেগুলো নির্বাচন কমিশনে নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার আগে দলীয়ভাবে জানাতে হবে তাদের চূড়ান্ত প্রার্থী কারা। যেসব আসনে একাধিক মনোনয়ন এখন রয়েছে, সেখানে চূড়ান্ত প্রার্থী থাকবে, বাকিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ পড়ে যাবেন। এরপর ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে জানা যাবে কারা থাকছেন ৭ জানুয়ারি ভোটের লড়াইয়ে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবার মোট প্রার্থীর এক-চতুর্থাংশই স্বতন্ত্র। প্রতি আসনে গড়ে প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। জানা গেছে, কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি ফাঁকা রেখে আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন ঝালকাঠি-২ আসনে নৌকার প্রার্থী বদল করে আওয়ামী লীগ। এ আসনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীরউত্তমকে নৌকা দেয়। সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নৌকা নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন বজলুর রহমান হারুন। দুপুরে অনলাইনে ঢাকা থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন নতুন নৌকার মাঝি শাহজাহান ওমর।

যেসব আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি মনোনয়ন পাননি তারা অনেকেই স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাবেক মন্ত্রী, হুইপ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর তালিকায়। কেউ কেউ দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। আবার কেউ কেউ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছেন। যেভাবেই হোক তারা ভোটের মাঠে থাকবেন বলে জানা গেছে। ফলে অনেক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী-এমপি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে টিকে থাকলে নৌকা বনাম স্বতন্ত্র লড়াই হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

কুমিল্লা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। আবুল কালাম আজাদ বলেন, নেত্রী জনপ্রিয়তা যাচাই করার সুযোগ দিয়েছেন। ভোটেই প্রমাণ হোক, জনগণ কাকে চান। জয়পুরহাট-১ আসনে সামছুল আলম দুদুর বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল আজিজ মোল্লা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জয়পুরহাট-২ আসনে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী বিদ্রোহী প্রার্থী। মাদারীপুর-৩ আসনে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য তাহমিনা বেগম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, সহসভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের কার্যকরী সদস্য আকতারুজ্জামান। লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী নুর উদ্দিন নয়নের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাঠে থাকতে বলেছেন। সে কারণে জনগণের সেবা করার মানসিকতা নিয়েই প্রার্থী হয়েছি। আমার স্বামী এ আসনের এমপি ছিলেন। মানুষের সেবা করেছেন। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। স্বামীর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করব। কুমিল্লা-১১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাবেক রেলমন্ত্রীর রিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আওয়ামী লীগ নেতা তমিজ উদ্দিন ভুইয়া সেলিম। দলীয় নেতা-কর্মীদের চাপের কারণে তিনি প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান। মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিপরীতে বিদ্রোহী আবদুল মান্নান, মিয়াজান আলী, ইয়ারুল ইসলাম ও জয়নাল আবেদিন। লালমনিরহাট-১ মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান রয়েছেন। লালমনিরহাট-২ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক। লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্কর। ঢাকা-২ আসনে নৌকা প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ। ফরিদপুর-১ আসনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন, মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফরিদপুর-২ আসনে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া ও আসমা শহীদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফরিদপুর-৩ আসনে শামীম হকের বিপরীতে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে আজাদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ ফারুক হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এবং স্বতন্ত্র আলমগীর কবির মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রেজাউল করিম রাসেল, গাজীপুর-২ আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, গাজীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী রুমানা আলী টুসি ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর-৪ আসনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমির বিরুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদের ভাগ্নে আলম আহমেদ, গাজীপুর-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির বিরুদ্ধে সাবেক সংসদ সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান স্বতন্ত্র হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহমেদ ফিরাজ কবীর ও বিদ্রোহী সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাজশাহী-১ বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী, আখতারুজ্জামান, শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার, নায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া (মাহিয়া মাহি) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভির শাকিল জয়ের বিরুদ্ধে গোলাম মোস্তফা তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৩ ডা. আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে শরিফুল আলম খন্দকার, সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল হালিম খান দুলাল ও স্বপন কুমার রায় স্বতন্ত্র প্রার্থী। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আবদুল মোমিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ও নুরুল ইসলাম সাজেদুল। সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে চয়ন ইসলামের বিরুদ্ধে হালিমুল হক মীরু স্বতন্ত্র প্রার্থী। সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজলো পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নাটোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আইনুল হকের স্ত্রী জাহানারা বেগম, সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য আবদুল কুদ্দুসের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবষেণা সম্পাদক আসফি আবদুল্লাহ শোভন, গুরুদাসপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সুজন আহম্মেদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়াও প্রায় প্রতিটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন।

রাজনৈতিক দল থেকে যত প্রার্থী : আওয়ামী লীগ ৩০৩, জাতীয় পার্টি ৩০৪, তৃণমূল বিএনপি ১৫১, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৯১, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫, জাকের পার্টি ২১৮, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩৩, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩৪, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭, গণফ্রন্ট ২৫, গণফোরাম ৯, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৪২, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১৪, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৪৭, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২০, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ৬, গণতন্ত্রী পার্টি ১২, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ৬, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ১৪, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১৩, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৮, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ৫, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৭৪, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ ৫৫, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ৪৯, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭৪৭। আওয়ামী লীগ প্রাথমিকভাবে ২৯৮টি আসনে দলের মনোনয়ন জমা দেয়। পরে ৫টি আসনে দুটি করে মনোনয়ন জমা পড়েছে। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মনোনয়ন জমা দেয় ২৮৬টি আসনে। পরে ১৮টি আসনে দুটি করে দলীয় মনোনয়ন জমা দেয়।

সর্বশেষ খবর