শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিবন্ধিত ইসলামী দলের সাতটি নির্বাচনে, চারটি অংশ নিচ্ছে না

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

দেশে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত ইসলামী দল সব মিলিয়ে ৭০টিরও বেশি। এর মধ্যে নিবন্ধিত ১১টি ইসলামপন্থি। নতুন করে দুটি দল নিবন্ধন পাওয়ার পর এখন বাংলাদেশে মোট নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। নিবন্ধিত ইসলামী দলের সংখ্যা বিবেচনা করলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পাল্লাই এখন ভারী। ভোটে অংশ নিয়েছে নিবন্ধিত সাত দল। তবে শক্তিশালী চারটি দল ভোটে অংশ নেয়নি। ভোটের হিসাবের বিবেচনায় প্রভাবশালী ইসলামী দল নিবন্ধনের বাইরে বড় ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামীও ভোটে অংশ নেয়নি। তবে অনিবন্ধিত বেশকিছু ইসলামী দল ভোটে মাঠে লড়াই করছে।

নিবন্ধিত ইসলামী দলগুলো হলো- বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাকের পার্টি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামিক ফ্রন্ট, খেলাফত আন্দোলন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। এর মধ্যে সুপ্রিম পার্টি সদ্য নিবন্ধন পাওয়া।

নিবন্ধিত ইসলামী দলগুলোর মধ্যে কওমি মাদরাসা ভিত্তিক চারটি দল নির্বাচনে যায়নি। দলগুলো হলো- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও খেলাফত মজলিস। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২৯৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তারা ভালো ভোট পেয়ে দৃষ্টি কাড়ে।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিবন্ধিত সাতটি দল হলো- বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। এর মধ্যে শুধু তরিকত ফেডারেশনের গত দুটি সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল। বাংলাদেশে নিবন্ধিত ইসলামী দল ছাড়াও আরও ৫০টির মতো ইসলামপন্থি দল সক্রিয় রয়েছে। তারাও আসলে বড় ইসলামী দল বা জোটের ব্যানারে থাকছে। ২০১৮ সালের বিভিন্ন জোটের হিসাব বলছে জাতীয় পার্টির সঙ্গে মোট ৩২টি ইসলামী দল নানাভাবে সম্পৃক্ত আছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৯টি এবং বিএনপির সঙ্গে আছে পাঁচটি। তারাও ভোটের সময় সক্রিয় হয়, ভূমিকা পালন করে। জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫, জাকের পার্টি ২১৮, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১৩, তরিকত ফেডারেশন ৪৭, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট ৩৭ ও সুপ্রিম পার্টি ৮২ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এদিকে নিবন্ধিত দলগুলো থেকে কয়েকজন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোটে অংশ নেওয়ায় তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইসলামী দলগুলোর নেতারা বলছেন, ইসলামী ধারার রাজনীতি বিপর্যয়ের মুখে। ক্রমেই শেকড়হীন হয়ে পড়ছে। ইসলামী ধারার দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই পীর) ও ইসলামী ঐক্যজোট (আমিনী) দলই ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাদের ব্যর্থতা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সমন্বয়হীনতা ও বিশ্বাস-অবিশ্বাস। এ কারণে এখন পর্যন্ত ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ একটি প্ল্যাটফরমে পৌঁছতে পারেনি।

সর্বশেষ খবর