শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক দিনে ১৫ উইকেটের পতন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এক দিনে ১৫ উইকেটের পতন

দুই ফিল্ড আম্পায়ার ‘লাইট মিটার’ দেখে যখন খেলা বন্ধ করে দেন, তখনো বাকি ৮.২ ওভার। স্কোর বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে নিউজিল্যান্ড ৫৫/৫। যদি আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ না করতেন আম্পায়ারদ্বয়, স্কোর বোর্ডের চিত্রটা হয়তো অন্যরকম হতে পারত! তার পরও প্রথম দিন শেষে মিরপুর টেস্টের যে চিত্র, তাতে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে। স্পিনবান্ধব মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে টাইগারদের সংগ্রহ ১৭২ রান। বিপরীতে ৫৫ রান তুলতেই সফরকারী কিউইরা উইকেট হারিয়েছে ৫টি। আজ দ্বিতীয় দিন ১১৭ রানে এগিয়ে থেকে ফিল্ডিংয়ে নামবে নাজমুল বাহিনী। সফরকারীদের ইনিংসের অর্ধেক গুঁড়িয়ে দিয়েছেন দুই টাইগার স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও সিলেট টেস্টের নায়ক তাইজুল ইসলাম। অবশ্য স্বাগতিকদের ইনিংসের ৮ উইকেট নিয়েছেন সফরকারী তিন স্পিনার। মিরপুরের স্পিন উইকেটে প্রথম দিনেই পতন হয়েছে ১৫ উইকেট। অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটে এক দিনে সবচেয়ে বেশি ২৭ উইকেটের পতনের রেকর্ড রয়েছে। ১৮৮৮ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিন ১৫৭ রানে ২৭ উইকেটের পতন হয়েছিল। স্পিনবান্ধব সিলেটে ১৫১ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। গতকাল শুরু হয়েছে মিরপুর টেস্ট। মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিন সহায়ক। টস জিতে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং এড়াতে চেয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের রাতে বৃষ্টি হয়েছে। সকালেও বৃষ্টি হয়েছে। পুরো দিন ছিল মেঘাচ্ছন্ন। এমন কন্ডিশনে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে একেবারে ভুল করেননি নাজমুল। যদিও টাইগারদের ইনিংসে কোনো হাফ সেঞ্চুরি নেই। ৬৬.২ ওভার ব্যাটিং করে ১৭২ রান করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম। দারুণ খেলতে থাকা মুশফিক আউট হন অবিবেচকের মতো। ৪১ নম্বর ওভারের চতুর্থ বলে কাইলি জেমিনসনের বলকে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন। বল ব্যাটে লেগে ক্রিজে ড্রপ খেয়ে বাইরে চলে যাচ্ছিল। তখনই মুশফিক বলটিকে হাত দিয়ে ঠেলে দেন। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হাত দিয়ে ঠেলে আউট হন মুশফিক। ক্রিকেট আইনে এই আউটকে বলা হয় ‘হ্যান্ডলড দ্য বল।’ তবে ২০১৭ সালে এমসিসি এই আউটকে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করে। ১৪৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিক ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ বা ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিক ১১তম এবং টেস্টে ৮ম ব্যাটার হিসেবে এমন আউট হন। সিলেটে সেঞ্চুরি হাঁকানো অধিনায়ক নাজমুল আউট হন ৯ রানে। শাহাদাত হোসেন দীপু ৩১, মেহেদি হাসান মিরাজ ২০ রান করেন। 

সর্বশেষ খবর