দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া এবং প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে চার দিনে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন ৪৩১ জন। এদিকে আজ ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। কাল ১০ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শুরু হবে; চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।

অন্যদিকে প্রথম দিনে আপিল আবেদন ছিল ৪২ জনের। দ্বিতীয় দিন করেছিলেন ১৪১ জন, তৃতীয় দিনে ১৫৫ ও গতকাল চতুর্থ দিনে ৯৩ জন আপিল করেছেন। গতকাল ইসি এ তথ্য জানিয়েছে। গতকাল সাতজন বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলে আবেদন এসেছে। গতকাল ঢাকা অঞ্চলে ১৭ জন, কুমিল্লার ১১ জন, চট্টগ্রামের নয়জন, ফরিদপুরের পাঁচজন, সিলেটের চারজন, ময়মনসিংহেরর ১৪ জন, বরিশালের চারজন, খুলনা ১১ জন, রাজশাহীর ১৩ জন ও রংপুর অঞ্চলের পাঁচজন প্রার্থী আপিল আবেদন করেছেন। এবারের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ২ হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১ জনের। ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে এ কে আজাদের আপিল : জাতীয় সংসদের ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক, এমন অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। গতকাল এ কে আজাদের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া আপিল আবেদন জমা দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় তথ্য উপাত্তসহ লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল না করে বৈধ ঘোষণা করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার এ আদেশের বিরুদ্ধে শুক্রবার আপিল করা হয়েছে।