আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমরা আমাদের সংবিধান মেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? নিষেধাজ্ঞা কম্বোডিয়ায় দিয়েছে। কেন  দিয়েছে এটা তাদের ব্যাপার। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায়, সেটি শুধু বিএনপি ও তাদের দোসরদের ওপর দিতে পারে। তারা এ নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বিএনপি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকা তো বলেছে যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে। সেটা হচ্ছে না কেন? তারা নাশকতা করছে, গাড়ি জ্বালাচ্ছে, ট্রেন পোড়াচ্ছে, মানুষ মারছে। এটাই তো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের বিরোধিতা। দেশে-বিদেশে পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের পাঁয়তারা চলছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পোশাক খাতের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছেন। এ খাতের শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিক। পরে এ সরকার ক্ষমতায় এলে সংসদে নতুন শ্রম আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা নেবে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করার দরকার নেই। যারা করছেন, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে করছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন সব সময় স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি এবং তার সহযোগীরা অনেকে অংশ নেয়নি। তার পরও সারা দেশে সমানতালে নির্বাচনি তৎপরতা চলছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কোনো বাধাবিপত্তি, হুমকি, নাশকতা, সন্ত্রাস এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারবে না। দেশের জনগণ এখন নির্বাচনমুখী। ভোটাররা যে কোনো উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। এতে যারা বাধা দেবে তাদের দেশের ভোটাররাই প্রতিহত করবে।