শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিআইডিএসের প্রতিবেদন

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে নতুন করে দেশে দরিদ্র হয় ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন বা ২৮ লাখ মানুষ। ২০২২ সালের হিসাবে দারিদ্র্য বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে এ করোনা মহামারি। একই বছর মন্দার কারণে বাড়তি ৫০ হাজার মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছে। আগামী বছরের শুরুতেই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাও করেন গবেষকরা। এমন যে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এ দিন ছয়টি অধিবেশনে প্রায় ৯টি পেপার এবং দুটি পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী বিভিন্ন অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান। সম্মেলনে বৈশ্বিক খাদ্য মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক খাদ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএফপিআরআইর জ্যেষ্ঠ গবেষক ড্যানিয়েল রেস্নিক। প্রবন্ধে তিনি বলেন, করোনা মহামারি বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্যের হার উসকে দিয়েছে। কভিডের প্রভাবে ২০২২ সালে বাংলাদেশে নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে পতিত হয়েছে ২৮ লাখ মানুষ। বৈশ্বিক নিম্ন প্রবৃদ্ধি আরও ৫০ হাজার মানুষকে এ বছর দারিদ্র্যসীমায় ঠেলে দিতে পারে। এ বছর একই সঙ্গে বাড়বে অপুষ্টির হার। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে তা সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বিআইডিএসের করা ‘নারীর অবৈতনিক ও অ-বিপণন কাজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের নারীরা তাদের নিজ বাড়িতে যেসব কাজ করে, তার বার্ষিক মূল্য ৫৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ১৪.৮ শতাংশ। এসব কাজের মধ্যে রয়েছে পরিবারের লোকজনের সেবাযত্ন করা, বৃদ্ধদের সেবা করা, রান্নাবান্না করা। পাশাপাশি করোনার কারণে নতুন করে দরিদ্র হয় ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন বা ২৮ লাখ মানুষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার নারীদের অবৈতনিক গৃহকর্মের বার্ষিক মূল্য তাদের জিডিপির ১৫ শতাংশ আর ২০১৯ সালের হিসাবে ভারতে তা ১৪ শতাংশ। বাংলাদেশে যে নারীরা শুধু ঘরের কাজ করে তেমনটা নয়, এর পাশাপাশি পুরুষরাও কাজ করে। পুরুষদের এ কাজের অবদান জিডিপির প্রায় ২.৮ শতাংশ। অন্য প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা দেশের বিভিন্ন কলেজ থেকে স্নাতক পাস শিক্ষার্থীদের ৪২ থেকে ৪৮ শতাংশ বেকার। ২০২১ সালে এ হার ছিল ৬৬ শতাংশ। বিআইডিএসের করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের কর্মসংস্থানের ফলাফল শীর্ষক এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর