রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

১৩ দেশের ৩৭ জনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

তালিকায় নেই বাংলাদেশ

প্রতিদিন ডেস্ক

এবার ১৩টি দেশের ৩৭ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে এ তালিকায় বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান নেই। সূত্র : রয়টার্স।

এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৫০-এর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ    করেছিল মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। এবার মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার ৭৫ বছর পূর্তি সামনে রেখে স্থানীয় সময়  শুক্রবার এ নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র দফতর ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, হাইতি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাইবেরিয়া, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া ও উগান্ডার ৩৭ নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ইরানের কুদস ফোর্স কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে এজেন্ট নিয়োগ দানের অভিযোগে দুজন ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় সোলেইমানি নিহত হলে তার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিল ইরান। তিনি তেহরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার ও মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের কারিগর ছিলেন। এ ছাড়া আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েদের ওপর নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ক্ষমতাসীন সরকারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে সরকারের দুজন মন্ত্রীও রয়েছেন। পাশাপাশি চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল জিনজিয়াংয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মধ্যম পর্যায়ের দুজন চীনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা পরিচালনা করছে চীন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ ভোগদখল করতে পারবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যাংকে থাকা অর্থ তুলতে পারবেন না। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে কোনো ব্যবসা ও লেনদেন করতে পারবেন না। এ বিষয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং মার্কিন অর্থব্যবস্থাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের থেকে নিরাপদ রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, যুক্তরাজ্য ও কানাডাকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনে জড়িত থাকলে মার্কিন নাগরিকরাও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন। তালিকায় নেই বাংলাদেশ : আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৩টি দেশের ৩৭ জন ব্যক্তির ওপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেই তালিকায় বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি নেই। প্রসঙ্গত, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ঘিরে বাংলাদেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে- এমন ব্যাপক প্রচারণা ছিল রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন মহলে। নিষেধাজ্ঞাকে হাতিয়ার বানিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠ গরম করার চেষ্টা করছে সরকার বিরোধীরা। তবে, আমেরিকার এ ঘোষণা ভোটমুখী বাংলাদেশকে আপাতত স্বস্তি দিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।

কারণ বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমেরিকার বিধিনিষেধ অন্যতম আলোচ্য। কিন্তু নতুন ঘোষণায় বাংলাদেশের কারও নাম নেই।

সর্বশেষ খবর