ডলার সংকট আর রিজার্ভের পড়তি সময়ে স্বস্তির খবর দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বাংলাদেশের চলমান ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল ওয়াশিংটনে সংস্থার সদর দফতরে অনুষ্ঠিত বোর্ডসভায় এ অনুমোদন দেওয়া           হয়। ৪ অক্টোবরে আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসে এ ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনার পর বোর্ডের কাছে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাব জমা দেয়; যা গতকালের সভায় উপস্থাপন করলে অনুমোদিত হয়। এ ঋণের বিপরীতে আইএমএফের দেওয়া ৩৮ শর্তের মধ্যে দুটি পূরণ না হলেও ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করে সংস্থাটি। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ কেন দুটি শর্ত পূরণ করতে পারেনি তা আইএমএফকে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারায় সংস্থাটি ঋণ অনুমোদন করেছে। এ বছর ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের বোর্ডসভায় বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। ২ ফেব্রুয়ারি ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৪৭ মিলিয়ন ডলার ছাড় করে। বাকি অর্থ পাঁচ দফায় পর্যায়ক্রমে ছাড় করার কথা। চলতি বছরের প্রথমার্ধে আইএমএফ ছয়টি পরিমাণগত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। পূরণ করতে না পারা শর্তগুলোর একটি ছিল জুনের শেষে ন্যূনতম ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বজায় রাখা। জ্বালানি, সার ও খাদ্যদ্রব্য আমদানির জন্য রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়েছিল বলে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার কমেছে। এ ছাড়া, ন্যূনতম রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের কমপক্ষে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের প্রয়োজন ছিল। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত রাতে বলেছেন, আইএমএফ গতকাল দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।