বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাইয়ের টাকা ২৭৬ গুণ বেড়েছে মাজহারুলের সম্পদ ৬৮ গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাইয়ের টাকা ২৭৬ গুণ বেড়েছে মাজহারুলের সম্পদ ৬৮ গুণ

গত ১৫ বছরে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল হাইয়ের আয় বেড়েছে ৫৯ গুণ। এ সময়ে তার হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ২৭৬ গুণ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা বেড়েছে ১১৪ গুণ। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদও বেড়েছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা ও নবম জাতীয় নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে চারবারের এই এমপি আসন্ন সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী। রাজধানীর পূর্বাচলে সাড়ে ৭ কাঠার প্লট ও ডেমরায় ১৫ শতাংশ জমি থাকলেও তার ঘর, বাড়ি ও ফ্ল্যাট নেই। আবদুল হাইয়ের বার্ষিক আয় ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ৫৯ গুণ। বর্তমানে আবদুল হাইয়ের হাতে নগদ ২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা রয়েছে। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় তার হাতে নগদ টাকা ছিল ১ লাখ। অর্থাৎ তার হাতে ১৫ বছরে নগদ টাকা বেড়েছে ২৭৬ গুণ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবদুল হাইয়ের ২ কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা রয়েছে। ১৫ বছর আগে ব্যাংকে তার ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিল। এ সময় ব্যাংকে তার টাকা বেড়েছে ১১৪ গুণ। বর্তমানে তার স্ত্রী সেলিনা পারভীনের হাতে নগদ ১২ লাখ টাকা রয়েছে। ১৫ বছর আগে তার হাতে ছিল ৫০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে ১০ লাখ টাকা। ১৫ বছর আগে ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। বর্তমানে আবদুল হাইয়ের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের দুটি জিপগাড়ি রয়েছে। ১৫ বছর আগে তার কোনো গাড়ি ছিল না। আবদুল হাইয়ের ২০ ভরি ও স্ত্রীর ৩০ ভরি সোনা রয়েছে। ১৫ বছর আগে তার স্ত্রীর কোনো সোনা ছিল না। বর্তমানে আবদুল হাইয়ের কৃষিজমির পরিমাণ ৫ বিঘা। ১৫ বছর আগে তার কৃষিজমি ছিল ৩ একর। অকৃষিজমি হিসেবে ঢাকার পূর্বাচলে ৩০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের সাড়ে ৭ কাঠার প্লট ও ডেমরায় ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৫ শতাংশ জমি রয়েছে। নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কোনো অকৃষিজমি ছিল না।

মজাহারুলের সম্পদ বেড়েছে ৬৮ গুণ

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়-১ আসনের এমপি মজাহারুল হক প্রধানের সম্পদ গত ১৫ বছরে ৬৮ গুণ বেড়েছে। দুটি ব্যাংকে ১৫ লাখ করে ৩০ লাখ টাকা দেনা রয়েছে তার। ব্যবসা ও কৃষি পেশায় এই এমপির আয়, স্থাবর, অস্থাবরসহ স্ত্রী এবং নির্ভরশীলদের সম্পদ বেড়েছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধানের ১০১ দশমিক ৮২ গুণ অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তার নগদ অর্থ ছিল ১ লাখ টাকা এবং ব্যাংকে ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে এসে তার নগদ অর্থ অপরিবর্তীত থাকলেও ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৮৯ হাজার টাকায়। ছিল ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১০০ সিসি মোটরসাইকেল, ৬ হাজার টাকা মূল্যমানের দুই ভরি সোনা। ১৫ বছর পরে এসে যোগ হয়েছে- স্ত্রীর নামে ৩২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, নির্ভরশীলের নামে ২৫ লাখ টাকা, ৭ লাখ টাকার মোটরগাড়ি, ১ কোটি টাকা দামের একটি জিপ গাড়ি, নির্ভরশীলের নামে ৩ লাখ টাকার তিনটি মোটরসাইকেল, নির্ভরশীলের নামে ২৫ লাখ টাকা দামের একটি জিপ গাড়ি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানের অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকার। যা গত ১৫ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৪ টাকায়।

ঋণগ্রস্ত কাজী নাবিল

যশোর : যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদের আয় ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে, বেড়েছে ঋণও। তবে কমেছে স্থাবর সম্পত্তি। বর্তমানে তিনি ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার সম্পদের মালিক। হলফনামা অনুযায়ী, গত ৫ বছরের ব্যবধানে কাজী নাবিল আহমেদের বার্ষিক আয় বেড়েছে ১১ গুণ। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। হলফনামা অনুযায়ী, গত ৫ বছরে ব্যবসায়িক কারণে তিনি ৩০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। বর্তমানে তার ঋণের পরিমান দঁাঁড়িয়েছে ৯১৯ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আওয়ামী লীগের টিকিটে তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন কাজী নাবিল আহমেদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এর আগে তার নিজের অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২০ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকার, স্ত্রীর ছিল ৬ কোটি ৯৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা, সন্তানের সঞ্চয়পত্র ছিল ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯৬৪ টাকা। এ ছাড়া ৮৮.২০ তোলা সোনা ছিল, যার মূল্য উল্লেখ করা হয়নি। এবারের হলফনামা অনুযায়ী কাজী নাবিলের নিজের অস্থাবর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার। একই সঙ্গে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৯ কোটি ২২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা এবং সন্তানের সঞ্চয়পত্র বেড়ে হয়েছে ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকার।

শহীদুজ্জামানের স্ত্রী শূন্য থেকে কোটিপতি

নওগাঁ : নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনের এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের বার্ষিক আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। ১৯৯১ সাল থেকে চারবারের এমপি এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। গত ১৫ বছরে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ। স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১৯ গুণের বেশি। শূন্য আয় থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা উল্লেখ করেন। এমপি হওয়ার পর গত ১৫ বছরের তার বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ১৪ গুণ। ২০০৮ সালে তার স্ত্রী কোনো আয় ছিল না। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। শূন্য আয় থেকে বর্তমানে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৪৯ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে হলফনামায় তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য ছিল ৮০ হাজার টাকা। যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

নগদ অর্থ কমেছে প্রতিমন্ত্রীর বেড়েছে উপমন্ত্রীর

নেত্রকোনা : নেত্রকোন-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের এমপি সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরুর গত পাঁচ বছরে কমেছে নগদ অর্থ। তবে ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩০ গুণ। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের নগদ অর্থসহ সম্পদ বেড়েছে প্রায় তিন গুণ, ব্যাংক হিসাবে বেড়েছে প্রায় ৩২ গুণ। এছাড়াও স্ত্রীর নামে ২০১৩ সনে কিছু না দেখালেও এবার দেখানো হয় কোটি টাকার সম্পদ। আওয়ামী লীগের এবারের প্রার্থী আশরাফ আলী খান খসরুর ২০১৮ সনে নগদ টাকা ছিলো ১৪ লাখ। ২০২৩ সনে এসে তা কমে হয়েছে ২ লাখ। আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় ১২ লাখ ১৪ হাজার টাকা থেকে ১০ বছরে বেড়ে হয়েছে ৩২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা ৭ লাখ টাকা থেকে পোস্টাল সেভিংস সার্টিফিকেটসহ আমানত দেড় কোটি টাকা হয়েছে। বেড়ে হয়েছে ৩২ গুণ বেশি। ব্যবসা ক্ষেত্রেও দেখিয়েছেন চমক। ২০১৩ সালের হলফনামায় শূন্য দেখালেও এবারে তাতে আছে ৯৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। ২০১৩ সনে স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ বা অর্থ না দেখালেও এবার ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে নগদ ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

শাহজাদার সম্পদের চেয়ে ঋণ বেশি

পটুয়াখালী : পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি এস এম শাহজাদার ব্যবসা ও আমানত থেকে ৫০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আয় দেখালেও এমপি হিসেবে পাওয়া ভাতার উল্লেখ নেই হলফনামায়। তার স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ও অস্থাবর ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। তার স্ত্রী কিংবা নির্ভরশীলদের কোনো আয় না থাকলেও গৃহিণী স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। সরবরাহকারী কোম্পানির নিকট এমপি শাহজাদার দায় রয়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ফলে এই এমপির অর্জিত সম্পদের চেয়ে ঋণ অনেক বেশি।

শহীদের সম্পদ বাড়ল কোটি টাকা

মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবদুস শহীদের গত পাঁচ বছরে ১ কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে। ২০০৮ সালে তার মোট স্থাবর, অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, ২০১৮ সালে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৭৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা। বর্তমানে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

এদিকে ২০১৮ সালে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

বগুড়ার প্রার্থীদের আয় বেড়েছে

বগুড়া : বগুড়ায় প্রার্থী হওয়া অধিকাংশ নেতা-কর্মীর আয় বেড়েছে কয়েকগুণ। যে নেতার কোন আয়ই ছিলো না তিনিও হয়েছেন কোটিপতি। যে নেতার ছিল লাখ টাকা তিনিও কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। বগুড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এবার বগুড়া-৫ আসন থেকে দলের প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর হাতে বর্তমানে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রসহ তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০১৩ সালে তার কৃষিজমি ছিল পৌনে ৪ একর। বর্তমানে তিনি প্রায় ৮ একর জমির মালিক। বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু বগুড়া-৬ আসনে আবারও দলের মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৩ সালে নিজেকে কৃষি ও কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী উল্লেখ করলেও কোনো আয়ের কথা উল্লেখ ছিল না। এবার নৌকার প্রার্থী হিসেবে সম্পদ বিবরণীতে ৫০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে ৩১ লাখ টাকা জমা থাকার তথ্য দিয়েছিলেন। এমপি হওয়ার পর সেই এখন তিনি সাড়ে ৮ লাখ টাকা মজুদ মালের ব্যবসা দেখিয়েছেন। শুধু ব্যাংকেই তার ৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা জমা রয়েছে। গাড়ি হিসেবে ল্যান্ডক্রুজার দেখিয়েছেন ১ কোটি ২ লাখ টাকা মূল্যের। সব মিলিয়ে তার প্রায় ৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলে হলফনামায় দেখা যায়। আর স্থাবর সম্পদ হিসেবে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্টের কথা সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন তিনি। বগুড়া-৪ আসনে এমপি জাসদ প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের ব্যাংকে জমা অর্থ বাড়লেও এবং ব্যবসা থেকে আয় কমেছে। ২০১৯ সালে তানসেনের ব্যাংকে জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ টাকা। যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ লাখ ৯৪ হাজার টাকায়। এ ছাড়া ব্যবসা থেকে আয় ছিল ২৯ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫০ টাকা যা এবারের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬০ টাকা।

বগুড়া-১ (সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি) আসনের এমপি নৌকার প্রার্থী সাহাদারা মান্নান তার স্থাবর সম্পদ দেড় গুণেরও বেশি বেড়েছে। এবারের হলফনামায় দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ২০২০ সালের উপনির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত তিন বছর আগে তার ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ছিল। যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়। একই সঙ্গে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে তিন গুণ। এখন তার হাতে নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৩ লাখ ৫১ হাজার, যা গত তিন বছর আগে ছিল ২৮ লাখ ৯৬ হাজার ২০০ টাকা। বগুড়া-২ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর গত পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে। সেই সঙ্গে তার স্ত্রীও হয়েছেন কোটিপতি। পাঁচ বছর আগে যার কৃষি জমি ছিল মাত্র দেড় শতকের কম, বর্তমানে তার কৃষি জমি ১২০০ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬৯৩ শতক। পাঁচ বছর আগে যার বার্ষিক আয় ছিল মাত্র ৩ লাখ টাকার কিছু বেশি বর্তমানে তার ও পরিবারের সদস্যদের বার্ষিক আয় প্রায় ৭০ লাখ টাকা। ১০ বছর আগে যার অস্থাবর সম্পদের মূল্য ছিল ৮ লাখ টাকার নিচে এখন তার অস্থাবর সম্পদের মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

সর্বশেষ খবর