বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
এফবিসিসিআই সভাপতি

কঠিন হয়ে যাচ্ছে ঋণ পরিশোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের উৎপাদন ব্যাহত হলেও সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। অথচ অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় সময়মতো ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে ব্যবসায়ীরা যেন ঋণ খেলাপি না হয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ অনুরোধ জানান। এফবিসিসিআইর প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. মুনির হোসেন, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, এফবিসিসিআইর পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ীদের কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বর্তমান সরকার দেশের ব্যবসার উন্নয়নে কাজ করছে। ব্যবসায়ীরা যেন ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারেন এ জন্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি। এ সময় তিনি রপ্তানি বহুমুখীকরণ, রপ্তানি প্রণোদনা, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, এলডিসি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন। মাহবুবুল আলম প্রধানমন্ত্রীকে জানান, নিরবচ্ছিন গ্যাস সরবরাহের শর্তে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করার জন্য আমরা সহমত দিয়েছিলাম। অথচ গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস অনেক ক্ষেত্রেই পাওয়া যাচ্ছে না বলে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। ফলে ব্যবসা পরিচালনার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ডলার সংকট নিরসনে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ডলার সংকট মোকাবিলায়  আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হলেও দেশীয় এবং রপ্তানি শিল্পের উৎপাদন সম্পর্কিত এলসি খোলা যাতে স্বাভাবিক থাকে সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। এ ছাড়া আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন ও চাহিদার পূর্বাভাস অনুযায়ী পণ্য যথাযথভাবে আমদানি করার পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে রমজান মাসে পিঁয়াজ, ছোলা, ভোজ্য তেল, আলু, বেগুন, বেসন, চিনি, খেজুর ইত্যাদির মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এখনই পদক্ষেপ প্রয়োজন। এ সময় তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানান। কভিড সংকট পরবর্তী পরিস্থিতি, বর্তমান বিশ্ব ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘটিত যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এরূপ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমাদের বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর