ফরিদপুরের সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে ‘মোনাফেক’ আখ্যায়িত করে ৮ জানুয়ারি (নির্বাচনের পরের দিন) তাকে জুতার মালা দিয়ে ঘোরানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। বুধবার সন্ধ্যায় সালথার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া বাজারের পাশে একটি বাড়িতে নির্বাচনি সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, একজন প্রার্থীর মুখে এ জাতীয় অশালীন ভাষা কাক্সিক্ষত নয়। শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বলেন, আজকে আমরা এখানে দেখি অনেক মীরজাফর। আপনাদের এই উপজেলার সভাপতি দেলোয়ার সাহেব যিনি দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন, দীর্ঘ সময় তিনি আওয়ামী লীগ করে এই শেষ সময়ে এসে তিনিও মুনাফেকি করলেন। এই লোককে আমার মা (সাজেদা চৌধুরী) দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুশে ছিলেন। ‘উনি ওই সন্ত্রাসীর খালাতো ভাই’ মন্তব্য করে শাহদাব আকবর বলেন, ‘একটা জুতার মালা বানাইতে দিছি। ৮ তারিখ (৮ জানুয়ারি) উনার গলায় জুতার মালা দিয়া ঘোরানো হবে।’ শাহদাব আকবর বলেন, সারা জীবন যারা নৌকার কথা বলে এসেছেন আজ এদিক-ওদিক করছেন তারা মোনাফেক। এরা মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার কথা বলে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এই মোনাফেকদের বিচার নগরকান্দা সালথায় হবে।  শাহদাব আকবর বলেন, আমরা এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আসল মানুষগুলো খুঁজে পাব, যারা টিআর কাবিখার টাকার জন্য দৌড়ায় না। টাকা-পয়সা দিয়ে প্রকৃত নেতাদের কেনা গেলে দেশের সব চোরাকারবারিই তাদের কিনে সংসদ সদস্য হতো। জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। জানতে চাইলে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, একজন প্রার্থীর মুখে এ জাতীয় অশালীন ভাষা কাক্সিক্ষত নয়। এ জাতীয় বক্তব্য দিয়ে এবং জনসম্মুখে মিটিং করে তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। উনি (শাহদাব) হয়তো ভেবে বসে আছেন উনি নির্বাচনে জিতে গেছেন, এ জন্য এ জাতীয় আপত্তিকর কথা বলে বেড়াচ্ছেন। দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি শাহদাবের এ বক্তব্যের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যে ব্যক্তির ওয়ান ইলেভেনের সময় ১৪ বছর কারাদ  হয়েছিল, যে ব্যক্তি নগরকান্দা সালথা থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, সেই ব্যক্তির স্থান আগামী নির্বাচনে জনগণই ঠিক করে দেবে। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।