রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিজয় দিবস উদযাপিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়

নিজস্ব প্রতিবেদক ও সাভার প্রতিনিধি

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়

কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে উদিত হয় বিজয়ের রক্তিম সূর্য। সূর্যোদয়ের পর থেকেই বিজয় দিবস উদ্যাপনে গতকাল সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ছিল লাখো মানুষের ঢল। বিজয়ের ৫২তম বছর উদ্যাপন উপলক্ষে যাদের রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তানি শাসন-শোষণের অবসান হয়েছিল, বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের, সেই বীর সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে গোটা জাতি।

বিজয়ের এ দিনে বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উৎখাত, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিসহ সব ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে দিবসটি উদ্যাপিত হয়েছে। এর আগে সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সমবেত হয় লাখো মানুষ। শোক আর রক্তের ঋণ শোধ করার গর্ব নিয়ে উজ্জীবিত জাতি দিবসটি উদ্যাপন করে অন্য রকম অনুভূতি নিয়ে। শীতের কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করে সর্বস্তরের মানুষ ভোর থেকেই সাভার স্মৃতিসৌধের বাইরে ও আশপাশ মহাসড়ক এলাকা এবং ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে সমবেত হতে থাকে। ভোরের সূর্য ওঠার আগেই ফুল, মাথায় বিজয় দিবস লেখা ব্যান্ড, জাতীয় পতাকা নিয়ে স্মৃতিসৌধে নেমেছিল মানুষের ঢল। বিনম্র চিত্তে সমগ্র জাতি ৩০ লাখ শহীদকে আরও একবার জানিয়ে দিল ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

সূর্যোদয়ের পরই সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন। এ সময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এরপর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পরে শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও এ এইচ এম খায়রুজ্জমান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও কূটনীতিকরা স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর স্মৃতিসৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর শ্রদ্ধা জানাতে নামে মানুষের ঢল।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভোর থেকেই ভিড় করতে থাকে মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়। অনেক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাও এসেছিলেন। শহীদবেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাভারের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহবুব বলেন, ‘আমি আমার সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হয়ে বেঁচে আছি। কিন্তু আমার সহযোদ্ধারা এ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে জীবন দিয়েছেন। তাঁরা দেখে যেতে পারেননি স্বাধীনতা। আজ তাঁরা সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত। এটাও আমার কাছে বড় পাওয়া।’ পর্যায়ক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, সাভার টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলো, বাংলাদেশি বিহারি সমাজকল্যাণ সংসদ, বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদানের সংগঠন), বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ মাশরুম ফাউন্ডেশন সাভার, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা সাভার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, জাসদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ইকবাল সিদ্দিকী কলেজ গাজীপুর, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), এডাব, ঢাকা সিটি কলেজ ছাত্র কাউন্সিল, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সাভার সিটিজেন ক্লাব লিমিটেড, গণপরিষদ সদস্য পরিবার, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা রাকিবুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি। কিন্তু যাঁরা যুদ্ধ করেছেন, দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা প্রয়োজন। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।’ প্রায় প্রতি বছরই তিনি শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন স্মৃতিসৌধে। আশুলিয়ার জামগড়া থেকে দুই বছরের সন্তান নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন পোশাক শ্রমিক মজিবর রহমান। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমরা যে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি তা বোঝাতে আমার সন্তানকে নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। ছোটবেলা থেকেই যেন আমার সন্তান দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারে।’

শ্রদ্ধা জানাতে আসা মুক্তিযোদ্ধা সফের আলী বলেন, আমরা দেশের মানুষকে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছি। আজ আমরা স্বাধীন। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে চলছে, স্বাধীনভাবে বেঁচে আছে। এটা দেখে গর্বে বুক ভরে যায়। জীবনে আর চাওয়ার কিছু নেই। যারা স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে জীবন দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আজ লাখ লাখ জনতা। এ চিত্র দেখে জীবনে আর চাওয়ার কী থাকতে পারে? যারা জীবন দিয়েছে তারা হয়তো আজ এ চিত্র দেখতে পারবে না। কিন্তু তাদের হয়ে আমি দেখছি যে বাংলার মানুষ তাদের কতটা শ্রদ্ধায় সিক্ত করেছে।

ধানমন্ডিতে মানুষের ঢল : মহান বিজয় দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল ভোর থেকেই সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। সকালে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এর পর তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে দলীয় সভানেত্রী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের নেতৃত্বে কৃষক লীগ, সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, গাজী মেসবাউল হক সাচ্চু ও আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ডেইজি সরোয়ার ও শারমিন আকতার লিলির নেতৃত্বে যুব মহিলা লীগসহ জাতীয় শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ আওয়ামী তথ্য প্রযুক্তি ফোরামসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়াও তাঁতী লীগ, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ডাকসু নেতৃবৃন্দ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, চালক লীগ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, উত্তর সিটি করপোরেশন, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ডিপিডিসি শ্রমিক লীগ, প্রজন্ম একাত্তর, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ, ঢাকা ওয়াসা, বাংলাদেশ জনতা লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, জীবন বীমা কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ আওয়ামী হকার্স লীগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, মহিলা শ্রমিক লীগ, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী লীগ, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল স্মার্ট প্যানেল বিজয় দিবসে র‌্যালি ও সমাবেশ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। এ সময় সংগঠনের মহাসচিব পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ৭ জানুয়ারি স্বাধীনতার প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রাক্কালে ৩২ নম্বরে হাজার হাজার মানুষের স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও ফুল দিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে এই পুষ্পমাল্য অর্পণ করে তাঁরা শ্রদ্ধা জানান। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সব শহীদ সদস্যদের রুহুর মাগফিরাত কামনা ও ১৯৭১ সালে মুক্তযুদ্ধকালে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।  শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বসার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাবুল মোল্লা, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান টুটুল, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটি। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ক্লাবের সিনিয়র সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, কার্যনির্বাহী সদস্য ফরিদ হোসেন, শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দ্বীপ আজাদ, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সিনিয়র সদস্য সুভাষ চন্দ্র বাদল, মধুসূদন মন্ডল, মফিজুর রহমান খান বাবুসহ সিনিয়র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর