রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজধানীতে বিএনপির বিজয় র‌্যালি

সাহস থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিন : মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে বিএনপির বিজয় র‌্যালি

রাজধানীতে গতকাল বিজয় র‌্যালি করে বিএনপি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় বিজয় র‌্যালি আয়োজনের মাধ্যমে বড় শোডাউন করেছে বিএনপি। দুপুর ১২টার আগে থেকেই হাজার হাজার নেতা-কর্মী নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় আসতে শুরু করেন। আত্মগোপনে থাকা মাঝারি পর্যায়ের অনেক নেতা গতকাল প্রকাশ্যে আসেন। নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ প- হওয়ার পর এটি ছিল বিএনপির দ্বিতীয় শোডাউন। বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জলকামান, সাঁজোয়া যানসহ প্রিজন ভ্যান প্রস্তুত রাখা হয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে। নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও র‌্যালি শুরু হলেও বন্ধ কার্যালয়ের ভিতরে কেউ যাওয়ার চেষ্টা করেননি। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখনো তালা ঝুলছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। পরিচালনা করেন দলের সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। বেলা পৌনে ২টায় ওলামা দলের নেতা আবুল হোসেনের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। পরে শোভাযাত্রাটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে রসিকতার নির্বাচন বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এই রসিকতার নির্বাচনের জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি। স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. আবদুল মঈন খান সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, সাহস থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিন। যেমনটি ১৯৯৬ সালে আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ৫২ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীন দেশের সূচনা হয়েছিল। বিজয় হয়েছিল গণতন্ত্রের। বর্তমান সরকার সেই গণতন্ত্র হত্যা করে বিজয় দিবসকে পরাজয় দিবসে পরিণত করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গতকাল দুপুরে বিজয় দিবসের শোভাযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ-পল্লী উন্নয়নবিষয়ক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ-প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাবেক এমপি সৈয়দ আশরাফি পাপিয়া, রাশেদা বেগম হীরা, রেহানা আক্তার রানু, সাবেক যুবদল নেতা মোরতাজুল করিম বাদরুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর