শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ ফখরুল খসরুকে

নিজস্ব ও আদালত প্রতিবেদক

জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ ফখরুল খসরুকে

মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর রিমান্ড আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রিমান্ড শুনানিতে বলা হয়, এজাহারনামীয় ও তাদের সহযোগী আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামা করতে বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ, বলপ্রয়োগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুরুতর জখম করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করেন। আসামিরা ঘটনার দিন নাশকতা ও অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আসামিরা পল্টন থানার সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু গ্রেফতার দেখানোপূর্বক রহস্য উদঘাটন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার, ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে জিজ্ঞাসাবাদ এবং অভিযান পরিচালনার জন্য ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এর আগে কারাগার থেকে রিমান্ড শুনানির জন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর এ ঘটনায় রমনা ও পল্টন থানায় মামলা হয়। এ মামলায় ২৯ অক্টোবরই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়।

মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণের নির্দেশ : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম এজাহারে থাকার পরও গ্রেফতার না দেখানো ৯টি মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ না করা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। গত ১৩ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এজাহারে নাম থাকার পরও গ্রেফতার না দেখানো ৯টি মামলায় জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। তবে আদালতে আবেদনগুলো শুনানির জন্য উপস্থাপন হলে আদালত বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেফতার না দেখানো পর্যন্ত জামিনের আবেদন শুনানির এখতিয়ার আদালতের নেই। এ সময় আদালত এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

সর্বশেষ খবর