সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত শামীম হক এবং যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এনামুল হক। একই সঙ্গে গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজউদ্দীন আহমদের ভাগনে শিল্পপতি আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ সংক্রান্ত পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। এদিকে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের রিট খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আর কোনো সুযোগ থাকল না। অন্যদিকে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। ফলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ হারিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শামীম হক : দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে বাতিল হওয়ায় ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হককে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এর আগে গত সোমবার হাই কোর্ট তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল।

এনামুল হক বাবুল : ঋণ খেলাপের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনামুল হক বাবুলকেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর আগে গত সোমবার এনামুল হক বাবুলের রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলেন হাই কোর্ট। এর আগে শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে এনামুল হক বাবুল হাই কোর্টে রিট করেন।

আলম আহমেদ : ঋণখেলাপির অভিযোগে বাতিল হওয়া গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজউদ্দীন আহমদের ভাগনে শিল্পপতি আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর আগে সোমবার আলম আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন হাই কোর্ট। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি। ১৩ ডিসেম্বর আপিল শুনানিতে আলম আহমেদের প্রার্থিতা বৈধ করার আবেদন নামঞ্জুর করে ইসি। এরপরই তিনি হাই কোর্টে রিট করেন।

শাম্মী আহমেদ : প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের রিট খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার তার কোনো সুযোগ থাকল না। ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল শাম্মী আহমেদের। আপিল আবেদন শুনানি করে এমন রায় দেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন (ইসি)। পরে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন শাম্মী আহমেদ।

সাদিক আবদুল্লাহ : বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ হারিয়েছেন। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে এ রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন একই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কর্নেল জাহিদ ফারুক। ইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাই কোর্টে রিট করেন।