বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিলেটে জনসভায় শেখ হাসিনা

ভোটে বাধা দিলে প্রতিহত

নির্বাচনি প্রচার শুরু। নৌকায় ভোট চাইলেন। বাসে আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে, অত সহজ না। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সেই আগুনেই হাত পোড়ে। ইনশা আল্লাহ খাদ্যের কষ্ট কখনো হবে না

রফিকুল ইসলাম রনি ও শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, সিলেট থেকে

ভোটে বাধা দিলে প্রতিহত

সিলেটে গতকাল জনসভায় ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পতাকা নেড়ে অভিবাদনের জবাব দেন বোন শেখ রেহানাও -পিআইডি

পুণ্যভূমি সিলেট থেকে গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশবাসীর কাছে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। পরে সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে প্রথম নির্বাচনি জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, বোমাবাজি ও অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি ভোট বানচাল করতে চাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে হাত পুড়ে, এটা তাদের মনে রাখা উচিত। তারা মনে করেছে, দুটো আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে। অত সহজ না। অত ভাত দুধ দিয়ে খায় না। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জনসভায় সমবেতদের নৌকা মার্কার প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালে উপস্থিত জনতা দুই হাত তুলে সমস্বরে সম্মতি জানায়। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। নৌকা নুহ নবীর। এই নৌকায় মানবজাতিকে রক্ষা করেছিলেন আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন। নৌকায় ভোট দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আবার এই নৌকা যখন সরকারে এসেছে, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, বোমাবাজি-খুন-অগ্নিসন্ত্রাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে, এত সাহস তারা কোথা থেকে পায়। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেট পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে ফুল দিয়ে সেখানে স্বাগত জানান। পরে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ছাড়া নিজস্ব গাড়ি নিয়ে সিলেট হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন তিনি। এ সময় তাঁর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, দলের সিনিয়র নেতা এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন শেখ হাসিনা। বেলা ৩টা ১০ মিনিটে সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসভার সভামঞ্চে যান শেখ হাসিনা। শেখ রেহানা এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। মঞ্চে জাতীয় পতাকা নেড়ে তিনি নেতা-কর্মীদের অভিবাদনের জবাব দেন। এ সময় উপস্থিত লাখো জনতার করতালিতে গোটা জনসভাস্থল মুখরিত হয়। সভামঞ্চে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা ছাড়াও এ বিভাগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র ভোটে অংশগ্রহণকারী দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। নৌকার মাঝিদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও মিছিল নিয়ে নির্বাচনি জনসভায় যান। শহরজুড়ে ছিল জনস্রোত।

মিছিলের নগরী সিলেট : এবার নির্বাচনি প্রথম প্রচারে শেখ হাসিনার সিলেট আগমন উপলক্ষে পুরো সিলেটের মানুষের মধ্যে এক অন্যরকম উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। পুরো মহানগরী পরিণত হয় নির্বাচনি মিছিলে। সকাল থেকেই সিলেটের ১৯টি আসন থেকে দলটির নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসভাস্থলে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। হাতে লাল-সবুজ পতাকার সঙ্গে রঙিন পোশাকে উৎসবের আমেজ তৈরি করে গোটা এলাকায়। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে পৌঁছার আগেই পুরো মাঠ উপচিয়ে নগরীর চৌহাট্টা, স্টেডিয়াম হয়ে জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, রিকাবি বাজার, মিরা বাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা রীতিমতো জনসমুদ্রে রূপ নেয়। মাঠে স্থান না পেয়ে টানানো শত শত মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনতে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষকে। আয়োজকরা দাবি করেন, জনসভায় ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটেছে।

এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ : জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্য়াদা পেয়েছি। দেশের মানুষ বারবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে পেরেছে বলেই আমরা এটা করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যে কূপ খনন করে গ্যাস পায়নি, আওয়ামী লীগের আমলে আমরা সেই কূপ খনন করে কেবল গ্যাস নয়, তেলও পেয়েছি। আল্লাহ জন বুঝেই ধন দেয়। আল্লাহ জানেন, ওদের কাছে দিলে সব নয়ছয় করবে। আওয়ামী লীগের হাতে পড়লে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে। তিনি বলেন, আমরা যখন উন্নয়নের কাজ করছি, তখন বিএনপির কাজ হচ্ছে পেট্রল দিয়ে মানুষ পোড়ানো। যারা লুটেরা, খুনি, হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী তারাই এ দেশের মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়। নির্বাচন বানচাল করতে চায়। লন্ডনে বসে একটা কুলাঙ্গার হুকুম দেয়, আর কতগুলো লোক এখানে আগুন নিয়ে খেলে। কোনো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে এভাবে আগুন নিয়ে মা-সন্তানকে পোড়াত পারে? আজ আগুন দিয়ে বাস পোড়াচ্ছে, রেল পোড়াচ্ছে। ২০১৩ সালে নির্বাচন ঠেকাতে অগ্নিসংযোগ করে, গাড়ি পোড়ায়। তাদের আগুনে তিন হাজারের মতো মানুষ পুড়ে যায়। পাঁচ শর মতো মানুষ মারা যায়। তবে অগ্নিসংযোগ করে তারা ২০১৩ সালের নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে তারা নির্বাচনে এলো। কিন্তু ভোট করবে কী? ওই লন্ডনে বসে একটা নমিনেশন দেয়। গুলশানে বসে একটা দেয়, আর পল্টন বসে আরেকটা। নমিনেশন বাণিজ্য শুরু করে দিল। এই সিলেটেও বাণিজ্য করেছে। বাণিজ্য করেই তাদের নির্বাচন শেষ। দোষ কার? দোষ তো তাদের। তিনি বলেন, তাদের দুর্নীতির সাক্ষী এফবিআই দিয়ে গেছে। কোনোদিন রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে। আর এখন ওখানে বসে হুকুম দিয়ে আগুনে মানুষ পোড়ায়। এটা হলো তাদের চরিত্র। সিলেট অঞ্চলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সিলেটে যত উন্নয়ন করেছি, জানি না সিলেটবাসী সেটা মাথায় রাখবেন কি না। সিলেটে মেট্রোরেল স্থাপনের সম্ভাবনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত ছয় লেনের মহাসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারই সিলেট বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত, রেলস্টেশন নির্মাণ করেছে। এখানে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হচ্ছে। ১০০ বেডের বার্ন ইউনিট করা হচ্ছে। এই সিলেটে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামও আমরা করে দিয়েছি।

ভোটে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই : এর আগে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। জনগণ তাদের ভোট দেবে। এতে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। ভোট দেওয়া থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার এবং হত্যা করার অধিকার কারও নেই। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কেউ মেনে নেবে না। কেউ এটা করলে একদিন দেশের জনগণই তাদের ছুড়ে ফেলবে, এটাই বাস্তবতা। রেলে সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগের পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগ এবং মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের প্রতি কোনো করুণা দেখানো হবে না। আমাদের অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র’ নির্বাচন বানচাল করতে এবং আগামী নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করতে চাইছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ নির্বাচন ও ভোটের পক্ষে। বিএনপির হরতালে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। এই ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তারা কী লাভ করবে। বরং জনগণ তাদের শেষ পর্যন্ত ঘৃণা করবে। তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছি। স্মার্ট নাগরিক আমরা গড়ে তুলব। স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি করেই আমরা আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। তিনি বলেন, আজকে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বিএনপির আমলে এটি ছিল না। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮-তে নামিয়েছি। ৮ লাখ ৪১ হাজার মানুষকে ঘর দিয়েছি। ২১ জেলা গৃহহীনমুক্ত করেছি। এর মধ্যে সিলেট অন্যতম। কোনো মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেই লক্ষ্য রেখে কাজ করি। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে সিলেট থেকে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করি। আজকে আবারও এসেছি। ১৯৫৯ সালে যখন ছোট ছিলাম, তখনো এসেছি। তবে ’৮১ সালে আসাটা ছিল ভিন্ন। তখন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে এসেছিলাম। তখন এসেছিলাম একটি প্রত্যয় নিয়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে। আমার বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না, এমন দেশে ফিরেছিলাম। আমি দেখেছি কীভাবে ভোট চুরি করে, কীভাবে গণতন্ত্র হরণ করে। ২১ বছর পর সরকার গঠন করে স্বপ্ন দেখেছি দেশকে সুন্দরভাবে গঠন করার। অনাবাদি জমি ফেলে না রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে ব্যাপকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। কোনো জমি যেন অনাবাদি পড়ে না থাকে। আমাদের দেশে যেন খাদ্যের কোনো অভাব না হয়। তাই সবাই যার যতটুকু জমি আছে, যেভাবে পারেন আপনারা চাষ করুন। ফসল ফলান, উৎপাদন করুন। নিজের খাদ্যের ব্যবস্থা নিজেরা করেন, সেটাই আমরা চাই। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করেছি। যেহেতু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে স্যাংশনে পড়ে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, যদিও আমরা তা অনেক কমিয়ে এনেছি। তারপরও আমরা পারিবারিক কার্ড করে দিচ্ছি যাতে মানুষের খাদ্যের কষ্ট না হয়। ইনশা আল্লাহ খাদ্যের কষ্ট কখনো হবে না। কারণ আমরা খাদ্যের উৎপাদন বাড়িয়েছি।

একজন লন্ডন বসে হুকুম দেয়, এখানে কিছু চ্যালা আগুন দেয় : শেখ হাসিনা বলেন, একজন লন্ডন বসে হুকুম দেয়, এখানে কিছু চ্যালা আগুন দেয়। এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে জনগণকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি এটাই বাস্তবতা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন ও ভোট দিতে চায়। আমার বার্তা একটাই। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার যে স্বপ্ন আমার বাবা দেখেছেন, আমি সেটাই করতে চাই। তিনি বলেন, আজকে এই যে সিলেটে এসেছি, এই সিলেটে এখন আর কোনো ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষ নেই। প্রত্যেকটা ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে আমরা ঘর করে দিতে পেরেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক দিয়েছি তাদের চিকিৎসার জন্য। অর্থাৎ মানুষের যে মৌলিক চাহিদাগুলো, সেগুলো আমরা পূরণ করে যাচ্ছি এবং যেটুকু বাকি আছে, ইনশা আল্লাহ আগামীতে নির্বাচন ৭ জানুয়ারি, বাংলাদেশের জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, আবার যদি সরকার গঠন করতে পারি, পুরো বাংলাদেশটাকেই আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ করব। আর কোনো মানুষই ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের নিয়ত। আর কিচ্ছু না। তিনি বলেন, গতকালকে যে ঘটনাটা ঘটল, তারা তো হরতাল দিয়েছে, দেশের মানুষ তো হরতাল মানেও নাই। তাদের ডাকে কোনো সাড়াই দেয়নি।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অভিনেত্রী তারিন জাহান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, হবিগঞ্জের সভাপতি আবু জাহির, মৌলভীবাজারের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমান, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডেইজি সারওয়ার, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ। সভামঞ্চে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, শেখ হেলাল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন জনসভা সঞ্চালনা করেন।

সর্বশেষ খবর