বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অসহযোগ ও ভোট বর্জনের ডাক বিএনপির

কর-খাজনা না দেওয়ার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

অসহযোগ ও ভোট বর্জনের ডাক বিএনপির

৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলটি সরকারকে ‘সব ক্ষেত্রে’ অসহযোগিতা করার জন্যও জনগণকে অনুরোধ করেছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষে রিজভী আহমেদ অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পাশাপাশি অপর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে- ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর এই তিন দিন দেশব্যাপী গণসংযোগ, ২৪ ডিসেম্বর সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। যুগপৎ আন্দোলনে সমমনা দল ও জোটের পক্ষ থেকেও এই তিন দিনের গণসংযোগ ও এক দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ সরকারকে অসহযোগের ডাক দিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবেন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে সব প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ অনুরোধ জানিয়ে রিজভী বলেন, ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ লুটপাট করেছে। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না সেটি ভাবুন। এর পাশাপাশি মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত ‘লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে’ আজ থেকে (বুধবার) আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান তিনি। এর আগে গতকাল সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে এক ভিডিও বার্তায় এই নতুন কর্মসূচির সপক্ষে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।

ত্রয়োদশতম কর্মসূচি : গতকাল ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দল ও জোটগুলোর পক্ষ থেকে আরও চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের ত্রয়োদশতম এই কর্মসূচিতে রয়েছে- আজ ২১, কাল ২২ ও পরশু ২৩ ডিসেম্বর এই তিন দিন ভোট বর্জনের জন্য গণসংযোগ এবং ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের কর্মসূচি।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন বাতিলের দাবিতে বিএনপি সর্বশেষ মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এর আগে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে তারা। এরপর থেকে দলটি দু-এক দিন পরপর কখনো অবরোধ, কখনো হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে এসব কর্মসূচি পালন করে আসছে। দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোও অভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।

সর্বশেষ খবর