শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

থানায় মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ যুবকের আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

থানায় মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ যুবকের আত্মহত্যা

চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় মিনহাজুল ইসলাম রাফি (২০) নামে এক যুবক ও তার বাবা-মাকে থানায় মানসিক নির্যাতনের পর যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রাফি লালখান বাজার টাংকির পাহাড় এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. মামুনের ছেলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল এশারের নামাজের পর স্থানীয় মসজিদে জানাজা এবং চৈতন্যগলির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সিএমপি কমিশনার এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার দক্ষিণকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানা যায়। জানা যায়, তরুণ রাফির সঙ্গে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে ওই তরুণী কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মা-বাবার সঙ্গে রাফিকে থানায় ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাদের মানসিক নির্যাতন করা হয়। অপমান সইতে না পেরে সেখান থেকে বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণ। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর লালখান বাজার টাংকির পাহাড় এলাকার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।  রাফির মা রানু বেগমের অভিযোগ, বুধবার কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমাদের ফোন করে থানায় যেতে বলেন। সন্ধ্যায় থানায় গেলে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখার পর একপর্যায়ে রাফির মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয় এবং ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। অন্যথায় রাফিকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনি বলেন, আমি আর ছেলের বাবা আধাঘণ্টা ওসির (তদন্ত) পা ধরে অনুরোধ করেছি। আমাদের সঙ্গে ৫ হাজার টাকা আছে জানালে তিনি তার কক্ষের বাথরুমে রেখে আসতে বলেন। সেখানে টাকা রেখে আসার পর আমাদের ছেড়ে দেয়। রাফির বোনের স্বামী মো. কালাম বলেন, আমরা থানা থেকে আমাদের বাসায় ফিরে আসি। এর মধ্যে আমার এক বন্ধু ফোন করে জানান, রাফি আত্মহত্যা করেছে। ছাদের বিমের সঙ্গে মাফলার পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। খুলশী থানার এসআই জামাল উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেন বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর এক তরুণী রাফির বিরুদ্ধে জিডি করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে জিডি তদন্তের জন্য রাফিকে মা-বাবাসহ ডেকে আনা হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য তার মোবাইল জব্দ করা হয়। তার মা-বাবা অনেক কান্নাকাটি করেছেন। আমি বলেছি, আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লাভ নেই। ক্ষমা চাইলে মেয়ের মা-বাবার কাছে চান। তবে ২ লাখ টাকা দাবি ও ৫ হাজার টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি মিথ্যা কথা।

সর্বশেষ খবর