শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নানাভাবে নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে

--- ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ

নানাভাবে নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেছেন, নানাভাবে নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে। এক্ষেত্রে পেশিশক্তির প্রয়োগ ছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করেও ভোটে প্রভাব বিস্তারের ঘটনা ঘটতে পারে। সবকিছু মাথায় রেখে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখাই নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য আগেভাগেই সব প্রস্তুতি রাখতে হবে। তিনি বলেন, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বলপ্রয়োগ, ভোট কেন্দ্র জোরপূর্বক দখলে নেওয়া, অস্ত্র প্রদর্শন, নারী ভোটারদের উত্ত্যক্ত করতে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, নানাভাবে জটলা তৈরি করা, ভোটপ্রদান শেষে কেন্দ্রে অবস্থান করা, পোলিং এজেন্টের ভূমিকা পালন করতে এসে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ব্যালট বই নিয়ন্ত্রণে নেওয়া, ভোটারদের লাইনে উস্কানি দেওয়া, ভোটপ্রদান শেষে কাকে ভোট দিয়েছে তা জিজ্ঞাসা করা, গোপন কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, সহায়তার নামে ভোটারের সঙ্গে প্রার্থীর সমর্থকদের  ভাটবুথে প্রবেশ, ভোট দিয়ে তার ছবি তুলে নিয়ে আসা, ভোটারদের উৎকোচ দেওয়া, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা, ভোট গ্রহণে দায়িত্বরতদের কর্তব্যে অবহেলা, ককটেল-হাতবোমা-সাউন্ডগ্রেনেড ব্যবহার করে আতঙ্ক তৈরি করা- এমন নানাভাবে ভোটকে প্রভাবিত করা হতে পারে। এ ছাড়া পেশিশক্তি কম থাকা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের বাসায় বাসায় গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য বলা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার পুরনো কৌশল। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমনটা করতেন। ১৯৯৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাঞ্ছারামপুরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখেছিলাম, ঠান্ডা মাথায় একজনকে খুন করে তার লাশ রেখে দেওয়া হয়েছিল পরিচিত একটা জায়গায়, যাতে এটা দেখে ভোটারদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ চলে যায়। এমন অসংখ্য বিষয় সুষ্ঠু ভোটে বাধা হতে পারে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করেও সুষ্ঠু ভোটে বাধা দেওয়া হতে পারে।  ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে, ড্রোন ব্যবহার করে ভোট কেন্দ্রে কারা গেছে, কী করছে তার ছবি তুলে নিতে পারে। এগুলো ঠেকাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ড্রোন, সিসি ক্যামেরা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। নির্বাচন কমিশন এগুলোর আয়োজন করবে। বাস্তবায়ন করবে মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বরত রিটার্নিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর প্রধানরা। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মাঠে কাজ করবে। সবকিছুর কেন্দ্রে থাকবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে তারাই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।

সর্বশেষ খবর